নজরে নির্বাচন, সুশান্ত আবেগকে কাজে লাগিয়ে ভোটের ঝুলি ভরানোর কৌশল বিজেপির

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘিরে তৈরি হওয়া আবেগকেই ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি। বিহারের পাটনা থেকেই বলিউডে জায়গা করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত। সেই কথা মাথায় রেখে বর্তমানের জ্বলন্ত ইস্যু এখন সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্ত। এর মধ্যেই বিহারের বেশ কয়েকটি জায়গায় সাংস্কৃতিক শাখা ‘কলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ এর পক্ষ থেকে সুশান্তের ছবি-সহ ব্যানার ছেড়েছে বিজেপি।

 

পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু-আবেগকে ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি। বিহারের পাটনা থেকেই বলিউডে জায়গা করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত। সেই কথা মাথায় রেখে বর্তমানের জ্বলন্ত ইস্যু এখন সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্ত। এর মধ্যেই বিহারের বেশ কয়েকটি জায়গায় সাংস্কৃতিক শাখা ‘কলা সংস্কৃতি মঞ্চে’র পক্ষ থেকে সুশান্তের ছবি-সহ ব্যানার ছেড়েছে বিজেপি। এমনকি সুশান্তের ছবি দেওয়া মাস্ক বিতরণও শুরু করতে চলেছে দল৷ এই সমস্ত ব্যানারে সুশান্তের ছবি ট্যাগ লাইন হিসাবে লেখা হয়েছে, 'না ভুলে হ্যায়, না ভুলনে দেঙ্গে।’

বিজেপির 'কলা সংস্কৃতি মঞ্চ' তরফে এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজার স্টিকার ও পোস্টার এবং পাশাপাশি ৩০ হাজার মাস্ক তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার রাজ্য কো-অর্ডিনেটর বরুণকুমার সিংয়ের কথায়, ‘‘মৃত অভিনেতার মৃত্যুর সুবিচারের জন্যই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই কাজে নেই। একজন শিল্পীর প্রতি অপর শিল্পীদের সমবেদনা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দের কথায়, ‘‘শিল্পীদের কল্যাণের স্বার্থে কাজ করে কলা সংস্কৃতি মঞ্চ। সুশান্ত সিং রাজপুতে'র মৃত্যুর সুবিচার চাইছে গোটা দেশ। অভিনেতার প্রতি সমবেদনা জানাতেই মঞ্চ এই উদ্যোগ নিয়েছে।’’ পাশাপাশি জেডিইউয়ের রাজীব রঞ্জনও এখানে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন৷ তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, ‘‘ভোটের তারিখ এখনও যেহেতু প্রকাশ করা হয়নি, সেক্ষেত্রে অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে কেউ নির্বাচনকে এক করতে পারেন না।’’

অন্যদিকে, এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ বিরোধী দল আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারির কথায়, ‘‘কারও মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় কখনও।’’ তিনি জানান, দলের নেতা তেজস্বী যাদব সর্বপ্রথম সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন৷ আবার কংগ্রেসের তরফে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য কোনও উত্তর মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে নেই বলেই সুশান্তকে নিয়ে এত মাতামাতি করছে ওঁরা।’’ এই বিষয়ে এক কংগ্রেস নেতার মতে, বর্তমানে বিহার বিধানসভায় বিভিন্ন দল মিলিয়ে মোট ১৯ জন বিধায়কই ‘রাজপুত’ সম্প্রদায়ের। ফলে সুশান্ত সিং রাজপুতের আবেগকে জড়িয়ে দিলে তাঁরা যদি দল বদল করেন তাহলে আখেরে লাভই হবে বিজেপির। পাশাপাশি রাজপুতদের ধরে রাখতে সুশান্তকে ইস্যু করে অন্য দল গুলিও সামান্য হলেও প্রচার চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *