ওয়াশিংটন: মাত্র পাঁচ বছর বয়সে নাসা আয়োজিত স্পেস ক্যাম্প প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছিল অ্যালিসিয়া কারসন। সেই থেকে শুরু, এরপর একটা ক্যাম্পও বাদ যায়নি। এখন বয়স ১৯। এ সময়টা ভবিষ্যত পরিকল্পনা করার। আর সেটাই করেছে অ্যালিসিয়া। জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নাসার হয়ে মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার। তার জন্য যা করতে হয় তাই করে চলেছে মার্কিন এই কিশোরী। ইতিমধ্যেই অ্যাডভান্সড স্পেস অ্যাকাডেমি থেকে সবথেকে কমবয়সে গ্রাজুয়েট হওয়ার রেকর্ড করে ফেলেছে সে। এখন অ্যাস্ট্রোবায়োলজি (মহাকাশের জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত পড়াশোনা) নিয়ে কলেজে পড়ছে। ইচ্ছে আছে এই বিষয়ে পিএইচডি করার। তবে পাখির চোখ সেই মহাকাশ এবং মঙ্গলে যাওয়া।
নিজের মতোই আরও কিছু উৎসাহীদের নিয়ে একটি দল গড়েছে অ্যালিসিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা অনবরত মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে চলেছে। লক্ষ্য, এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করা। তবে প্রধান উদ্দেশ্য অবশ্যই ভবিষ্যতে নাসার মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কিত অভিযান এবং গবেষণায় যোগ দেওয়া। তাঁর জন্য নাসার চোখে পড়তে হবে, তাই চেষ্টা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যতটা পারা যায় নিজেদের নাসার চোখে পড়ানো।
অ্যালিসিয়ার মতে, মঙ্গলে মানুষ যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অবদানের প্রয়োজন। সে বলছে, চাঁদে মানুষ গেছে, কারণ সেই সময় জন সাধারণের মধ্যে একটা জোর হাওয়া উঠেছিল এই নিয়ে। একইরকম উদ্দীপনা মঙ্গলের ক্ষেত্রে তৈরি হলে নাসা বাধ্য হবে মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে।
অতিমারির এই দুর্যোগের সময় নিজেকে যতটা পারা যায় তৈরি রাখছে অ্যালিসিয়া। গরমের সময় তাঁর লক্ষ্য ছিল প্লেন ওড়ানো। উদ্দেশ্য, যত ওপরে ওঠা যায়। অবশ্য, শুধু লাল গ্রহে যাওয়া নয়, সে সম্পর্কিত যে কোনও গবেষণা মূলক কাজেই মহা উৎসাহ মার্কিন মেয়েটির। ভবিষ্যতে পৃথিবীর বুকে বসেই যদি মঙ্গল নিয়ে গবেষণায় অংশ হওয়া যায়, তাতেও আপত্তি নেই অ্যালিসিয়ার। কিন্তু ৩০-এর ঘরে বয়স থাকাকালীন মঙ্গল গ্রহে পা রাখার স্বপ্নই সবথেকে বড় তার।