বিরল মানসিক রোগের রহস্য উন্মোচন! কীর্তিমান ৩ বাঙালি গবেষক

গবেষণায় যুক্ত ছিলেন রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত স্নায়ুবিদ ব্রুস ম্যাকওয়েনও। তিনি এই বছরেই প্রয়াত হন।

বেঙ্গালুরু: যুদ্ধ বা হিংসাত্মক কোনও ঘটনার সাক্ষী থাকলে অনেকে জটিল মানসিক রোগের শিকার হন।  এই ধরনের মানসিক রোগকে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসওর্ডার বা পিটিএসডি বলা হয়ে থাকে। এই জটিল মানসিক রোগের মাত্র একটি চিকিৎসা পদ্ধতিতে উপকৃত হয়েছে বহু মানুষ। কিন্তু কেন এই পদ্ধতিতেই সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, তা কারও জানা ছিল না। সেই রহস্য উন্মোচন করলেন তিন বঙ্গসন্তান। বাঙালির বিজ্ঞান চর্চার মুকুটে এক নতুন পালক যুক্ত হল তা একবাক্যে মেনে বিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

আরও পড়ুন: সুখবর! ভারতের বাজারে করোনা ওষুধ আনতে চলেছে সিপলা

পিটিএসডি আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষের শরীরে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় কর্টিজল হরমোনের পরিমাণ। অন্য কোনও কারণে শরীরে কর্টিজল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলেও পিটিএসডিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার পিটিএসডি থেকে রোগী সুস্থ হয় বাইরে থেকে কর্টিজল প্রয়োগের মাধ্যমেই। কিন্তু মানবদেহের কোথা থেকে কর্টিজল ক্ষরণ হয়, তা জানা ছিল না চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। তিন বাঙালি গবেষক সামনে আনলেন সেই তথ্যই।

আরও পড়ুন: করোনা রুখতে কোন মাস্ক সেরা? পরার নিয়ম কী, জেনে নিন

গবেষণায় যুক্ত ছিলেন বেঙ্গালুরুর এনসিবিএসের প্রফেসর সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ দত্ত এবং ফ্রান্সের মন্টেপেলিয়ারের আইএফজির গবেষক প্রবহন চক্রবর্তী। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত স্নায়ুবিদ ব্রুস ম্যাকওয়েনও। যিনি এই বছরেই প্রয়াত হন। তিন বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন, মস্তিষ্ক থেকে এই হরমোন ক্ষরিত হয়। মস্তিষ্কের অ্যামিগডলা যেখান থেকে রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ নিয়ন্ত্রিত হয়, সেখান থেকেই এই হরমোন ক্ষরিত হয়। কোনও ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী থাকলে এই হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। গবেষণা জানাচ্ছে, কর্টিজলের পরিমাণ দেহে বেড়ে গেলে মস্তিষ্ক আরও একটি হরমোন নিঃসরণ করে। যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে কর্টিজলকে। তিন বাঙালি বিজ্ঞানীর এই গবেষণা পত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে খ্যাতনামা বিজ্ঞানপত্র ‘নেচার’-এর একটি জার্নালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 14 =