নয়াদিল্লি: তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে চন্দ্রায়ন ২। কিন্তু চন্দ্রযানের অরবিটার এখনও তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কাজ করতে গিয়েই চাঁদের মধ্যে নতুন এক গহ্বরের সন্ধান পেল চন্দ্রযানের অরবিটার। গর্তটি ১.৭ কিলোমিটার গভীর। এর থ্রি-ডি ছবি তুলে পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে অরবিটার। ছবিতে গর্তের ভিতরের প্রতিটি খাঁজ সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে এই গহ্বরের নাম রাখা হয়েছে ‘সারাভাই ক্রেটার’। স্বাধীনতা দিবসের দিন এই খবর ঘোষণা করল ইসরো। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে চন্দ্রাভিযানে নতুন দিশা দেখাবে সারাভাই ক্রেটার।
বিক্রম ল্যান্ডার ক্রাশ করার পর ইসরো জানিয়েছিল, চন্দ্রযাত্রা কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যর্থ নয়। চাঁদের কক্ষপথে কিন্তু পাক খাচ্ছে অরবিটার। সেখান থেকেই অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আর সেটাই হচ্ছে। অরবিটারের মাধ্যমে চাঁদের ধুলো রেগোলিথের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কখনও আবার হাই রেজোলিউশন ক্যামেরায় দক্ষিণ মেরুর ‘বোগুলস্কি ই-ক্রেটার’ ধরা পড়ছে। অরবিটারের ‘ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার’-এ ধরা পড়েছে চাঁদের অনেক অজানা ছবিও।
অরবিটারের আটটি পে-লোডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় লার্জ এরিয়া সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার, অরবিটার হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা ও ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার। এর মাধ্যমেই অনেক তথ্য আসছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের হাতে। সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারের মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে বরফের সন্ধান পান। এমনকী চাঁদের মাটিতে যে খনিজ থাকতে পারে, সেই কথাও জানা যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথম চন্দ্রযানের চেয়ে চন্দ্রযান-২ এর সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারে অনেক বেশি উন্নত। এই রেডারের মাধ্যমে চাঁদের গহ্বর সম্পর্ক সহজের তথ্য ও ছবি পাওয়া যাচ্ছএ। কয়েক কোটি বছরের পুরনো গহ্বরের সন্ধান যেমন পাওয়া যাচ্ছে তেমনই নতুন গহ্বর সম্পর্কের জানতে পারছেন তাঁরা। চাঁদের ধুলোর জন্য হাই রেজোলিউশন ক্যামেরায় এইসব গহ্বর মাঝেমধ্যেই এড়িয়ে যায়। সেই কাজটাই করছে সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারের।