দেবময় ঘোষ: মোদি সরকারের তিন কৃষি বিল এবং পশ্চিমবঙ্গের ‘আলু কেলেঙ্কারি’ – এভাবেই বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করছে রাজ্য বিজেপি। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর’কে চিঠি দিয়েছে বিজেপি প্রতিনিধিরা। রাজভবনে তার সঙ্গে গিয়ে দেখাও করে এসেছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের রণনীতি তৈরি করতে বুধবারই দিল্লিতে মহা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গিওদের রীতিমত ক্লাস নেন সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। আর মাঝেই রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করতে বিজেপির নতুন অন্ত্র হাতে এসেছে – তা হল আলু। প্রেক্ষাপট অবশ্যই মোদি সরকারের তিন কৃষিবিল।
The farmers’ produce trade and commerce (promotion and fecilitation ) bill 2020 , The farmers (empowerment and protection ) agreement for price assurence and firm service bill 2020 , Essential Commodoties Amendment Bill 2020 — এই তিনটি বিল নিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রবল আপত্তি তুলেছে। এন ডি এ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে অকালী দল। সংসদে এবং রাজ্যে এই বিলের বিরোধিতায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের কী অবস্থায় রেখেছে তৃণমূল ? একুশের মহা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নই তুলতে চায় বিজেপি।
কী সেই প্রশ্ন ? বিজেপির বক্তব্য, বঙ্গের অধিকাংশ কৃষক প্রান্তিক কৃষকের তালিকায় আসতে পারে। তারা গরীব। তৃণমূলের গুণ্ডা এবং ফোঁড়েদের ভয়ে তটস্থ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাদের জন্য কিছুই করতে পারেনি। রাজ্যপালকে চিঠিতে বিজেপি জানিয়েছে, বঙ্গের ‘আলু কেলেঙ্কারি’ একটি ‘কেস স্টাডি’ হতে পারে। এবছর মার্চ-এপ্রিল মাসে বঙ্গের আলু চাষিরা কিলো প্রতি ৮ – ১০ টাকা দাম পেয়েছে। খোলা বাজারে তা ৪০ টাকা কিল বিক্রি হয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ আলু উৎপাদনে দেশের অন্যতম সেরা। মধ্যস্বত্বভোগী, ফোঁড়েদের দৌলতে প্রতি কিলোতে ২০-২৫ টাকা বাড়তি যোগ হচ্ছে। যা আমি জনতার পকেটে চিমটি কাটছে। রাজ্যে প্রতিমাসে আলুর চাহিদা ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রতি কিলোতে ২০ টাকা বাড়তি যোগ হলে তা হয় ১০০০ কোটি। বলা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গে আলু কেলেঙ্কারি চলছে – দাবি বিজেপির।