কৃষিপণ্য বিপণনকে বেসরকারি পথে নিয়ে যাবে তৃণমূল, আশঙ্কা বামপন্থীদের

কৃষিপণ্য বিপণনকে বেসরকারি পথে নিয়ে যাবে তৃণমূল, আশঙ্কা বামপন্থীদের

1979a54f89b112d4dbb7e62b8fc8790f

কলকাতা: ওয়েস্ট বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেটিং(রেগুলেশন), ১৯৭২ – এই বিলটি বাম আমলে তৈরি হয়নি তা সাল দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু, ঠিক ১০ বছর পর বাম আমলে এই আইনের সংশোধনী করে তার কার্যবিধি ঠিক করা হয়। ২০১৪ সালে বিলটির কার্যত পরিবর্তন ঘটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিপণনের ধারণাই বদলে দেয়। সেদিন আইন সংশোধন করে কী করেছিল সরকার? গণশক্তির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বেরিয়েছে, বাম আমলে বিপণন বলতে চাষের শুরু থেকে বাজারজাত হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পর্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তৃণমূল আমলে মার্কেট ইয়ার্ডের সঙ্গে আইন সংশোধন করে ‘প্রাইভেট মার্কেট ইয়ার্ড’ – শব্দটি যোগ করা হয়।

এটা ঠিক যে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীন ব্লকে কৃষক বাজার তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এটা নয়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কিছুটা নিয়েই এই বাজার তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কী কাজে আসে ১৫৯ টি বাজার। “কিন্তু কোথাও সেই বাজারে আজ পর্যন্ত কৃষক তার পণ্য কেনাবেচার জন্য যেতে রাজি হয়নি। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার খরচ করে তৈরি হওয়া কৃষক বাজার কার্যত কোনও কাজে আসেনি। এখন করোনা অতিমারীতে গ্রামের একপ্রান্তে পড়ে থাকা কৃষক বাজারে সরকার সাময়িক কোয়ারান্টিন সেন্টার তৈরি করেছিল। কোনও কৃষক বাজার এখন ধান কেনার জন্য কেন্দ্র।” – লেখা হয়েছে গণশক্তিতে।

বামপন্থীদের দাবি, আইন সংশোধন করে তৃণমূল সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রকে ছাড় দিয়েছে। আবার সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজারকে নষ্ট করেছে। যে বাজারগুলি তৈরি হয়েছে, সেগুলিও কাজে আসেনি। এবার ওই কৃষক বাজারগুলির কী হবে? তা কী বেসরকারি কোম্পানি কে দিয়ে দেওয়া হবে? বামপন্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন। ২০১৪ সালের ৮ডিসেম্বর রাজ্য বিধানসভাতে সরকারের কাছে কৃষিপণ্য বিপণন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী প্রসঙ্গে এই প্রশ্নগুলিই সরকারের কাছে রেখেছিলেন বিরোধীরা। এদিন যেমন মোদী সরকার কোনও অভিযোগেই কর্ণপাত করছে না, সেদিন একই ঘটনা ঘটেছিল রাজ্য বিধানসভাতেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *