নয়াদিল্লি: পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর প্লাস্টিক৷ সুস্থ ও দূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়তে দীর্ঘদিন ধরেই প্লাস্টিক বর্জন অভিযান চলছে৷ নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ৷ তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির বদল হয়নি৷ এখনও সম্পূর্ণভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হয়নি৷ প্রতিনিয়ত যে হারে প্লাস্টিকের প্রতি মানুষের আসক্তি বেড়ে চলেছে তাতে সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে৷ কিন্তু প্লাস্টিক কী ভাবে বিশ্ব উষ্ণায়নকে তরাণ্বিত করছে, তা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয় না৷ কী ভাবে প্লাস্টিক সামুদ্রিক পরিবেশকে প্রভাবিত করছে, কী ভাবে এর থেকে নিষ্পত্তি পাওয়া সম্ভব, কী ভাবে প্লাস্টিক জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাকে প্রভাবিত করছে, তা দেখে নেওয়া যাক৷
আরও পড়ুন- স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে চাঁদ-সূর্যের পথে ভারত, মহাকাশে যাচ্ছে চন্দ্রযান-৩, আদিত্য এল ওয়ান
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা বলছে, প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রতি আমাদের ঝোঁক পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে বাড়িয়ে তুলছে । আমরা যদি পরিবহণ খাতে জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবহার কম করার চেষ্টা করি, তাহলে বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে আমাদের প্লাস্টিকের ব্যবহার আরও বাড়বে। সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ল (সিআইইএল)-এর অনুমান, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক তেল খরচের ২০% হবে।
এই প্লাস্টিক নীল গ্রহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷ সমস্যা হল, মাত্র ১৬% প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার যোগ্য৷ বাকিগুলি পুড়িয়ে নষ্ট করার জন্য ল্যান্ডফিলে যায় বা শুধু ফেলে দেওয়া হয়৷ রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে যে প্লাস্টিক আসে না তার বেশির ভাগই জড়ো হয় নদী ও সাগরের বুকে৷ এটি শুধুমাত্র প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্যই বিপদ নয়, এটি পরিবেশের জন্যেও ভয়ঙ্কর৷ প্লাস্টিক গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি ছেড়ে দেয় এবং ধীরে ধীরে ভেঙে যায়। সূর্যালোক এবং তাপের প্রভাবে এর থেকে মিথেন এবং ইথিলিন নিঃসরণ হয় এবং প্লাস্টিক ছোট ছোট টুকরে ভেঙে যায়৷ সর্বোপরী গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলি সামুদ্রিক অণুজীবের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন নিঃসরণ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। বলে রাখা ভালো, বিশ্বের অর্ধেক অক্সিজেন আসে জলভাগ থেকেই৷ আবার খোলা জায়াগায় বর্জ্য পদার্থ বা প্লাস্টিক পোড়ানো হলে তা বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে ওঠে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>