রূপান্তরকামী বলেই মেলেনি ফ্লাইং লাইসেন্স! খবর চাউড় হতেই ফের আবেদন জানাতে বলল DGCA

রূপান্তরকামী বলেই মেলেনি ফ্লাইং লাইসেন্স! খবর চাউড় হতেই ফের আবেদন জানাতে বলল DGCA

3a5f8171e4a0aa608aa7830b83e5c5ed

কলকাতা: তিনি রূপান্তরকামী পুরুষ৷ সেই কারণেই তাঁকে ‘কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স’ দিতে অস্বীকার করেছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)৷ সংবাদমাধ্যমে এমনই তথ্য পরিবেশন করা হয়েছিল৷ কিন্তু এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই জানাল বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ৷ শুধু তাই নয়,  বৃহস্পতিবার রূপান্তরকামী শিক্ষানবিশ পাইলট অ্যাডাম হ্যারিকে ‘পাইলট লাইসেন্স’-এর জন্য পুনরায় মেডিকেল পরীক্ষার দেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ভারতের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা এখনও ৩০ বছরের নীচে!

ডিজিসিএ জানাচ্ছে, রূপান্তরকারী ব্যক্তিদের পাইলট লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম বিধিনিষেধ নেই। বিমান বিধিমালা, ১৯৩৭ অনুযায়ী কোনও একজন শিক্ষানবিশকে লাইসেন্স দেওয়া হবে কিনা, তা নির্ভর করে তাঁর বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেডিকেল ফিটনেস, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর৷ একজন রূপান্তরিত ব্যক্তি মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলে তাঁকে ফিট মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়া যেতেই পারে৷  

ডিজিসিএ-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘হরমোনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি’-র জন্য শরীরে কোনও উপসর্গ বা শারীরিক অসুবিধা না থেকে থাকলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম সমস্যা হবে না। কিন্তু, হরমোনের ওষুধগুলির প্রভাব রূপান্তরকামী ব্যক্তির শারীরিক পরিবর্তনগুলি সম্পূর্ণ না করা পর্যন্ত বিমান চালানোর লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব না।

ডিজিসিএ জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন হ্যারি। তখন তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তিনি নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য হরমোন থেরাপির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন৷ এবং আরও কিছুদিন সেই থেরাপি চলবে৷ তা ছাড়া সেই সময় তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য রিপোর্টও সম্পূর্ণ ছিল না। সে কারণেই তখন তাঁকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়,  শিক্ষনবিশ হিসেবে তাঁর যত ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর কথা ছিল, সেই সময়ও পূর্ণ করতে পারেননি। গ্রাউন্ড ক্লাসেও তাঁর উপস্থিতি নিয়মিত ছিল না। তবে এখন হ্যারি সম্পূর্ণ সুস্থ৷ সে কারণেই তাঁকে নতুন করে আবেদন জানাতে বলা হয়েছে৷