নয়াদিল্লি: পৃথিবীর প্রতিবেশী লাল গ্রহ নিয়ে নীল গ্রহের বাসিন্দাদের আগ্রহের অন্ত নেই৷ মঙ্গলে প্রাণের হদিশ খুঁজতে মরিয়া মহাকাশ বিজ্ঞানীরা৷ সম্প্রতি দ্য ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)-র ইনস্টাগ্রান হ্যান্ডেলে মঙ্গল গ্রহের এক অভূতপূর্ব ছবি পোস্ট করা হয়েছে৷ হাই-রিজোলিউশান ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট (এইচআইআরআইএসই) পদ্ধতিতে তোলা ওই ছবিতে ধরা পড়েছে মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের রূপ৷ সেখান দেখা গিয়েছে মঙ্গলের গায়ে বিশালাকার কিছু গর্ত।
আরও পড়ুন- আছে অক্সিজেন, পৃথিবীর চেয়েও বেশি জল! বৃহস্পতির চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনা প্রবল
এই ছবিটি প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় শোরগোল পড়েছে৷ মঙ্গলগ্রহে যে গর্তের ছবিটি নাসা শেয়ার করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে একটি পায়ের ছাপ৷ যা অবিকল এলায়ানদের পায়ের ছাপের মতো৷ ছবিটি দেখে অভভূত বহু জ্যোতির্বিজ্ঞানীও৷ ছবির নীচে তাঁরা তাঁদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন৷ নাটনাগরিকরাও নানা মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরিয়ে তুলেছে৷ কারও অভিমত, ‘‘মঙ্গল গ্রহে এটা কোনও ভিনগ্রহীর পায়ের ছাপ৷’’ কেউ আবার লিখেছেন, “ঈশ্বরের সকল সৃষ্টিই সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডও তার ব্যতিক্রম নয়।’’ এই ছবিটি দেখে বাকরুদ্ধ নেটিজেনরা৷ ছবিটি কেবল সুন্দর নয়৷ এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অদ্ভূত রহস্য৷
মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ও লাল গ্রহের জলবায়ুর খোঁজ নিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে মার্কিন মহাকাশযান পার্সিভিয়ারেন্স৷ তার পর থেকে একের পর এক দুর্দান্ত ছবি পাঠিয়ে চলেছে সে৷ এই ছবিটি তারই মধ্যে একটি৷ এই ছবির ক্যাপশনে নাসা লিখেছে, “মানচিত্রটি এখানে প্রতি পিক্সেল ৫০ সেন্টিমিটার বা ১৯.৭ ইঞ্চি স্কেলে অনুমিত হয়েছে।” ছবির ক্যাপশনে নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তরফে লেখা হয়েছে, একটি বৃহত্তর গর্ত একটি দ্বিতীয় পাথুরে অববাহিকার মধ্যে রয়েছে। এই গর্তটি বায়ুযুক্ত৷
ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, এয়ারি ক্রেটার মূলত লাল গ্রহের জন্য শূন্য-দ্রাঘিমাংশ সংজ্ঞায়িত করেছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের আরও বিশদ চিত্রগুলি ক্যাপচার করা শুরু করলে আরও সুনির্দিষ্ট মার্কার প্রয়োজন হয়। তাই বিদ্যমান মানচিত্র অপরিবর্তিত রাখতে নাসা ছোট গর্তটির নাম দিয়েছে ‘এয়ারি-০’ (এয়ারি শূন্য)।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>