সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার ভাইরাস! গবেষণায় চমকে দেওয়ার মতো তথ্য

সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার ভাইরাস! গবেষণায় চমকে দেওয়ার মতো তথ্য

f8b4fa729671e372452b05118892c5f0

কলকাতা: করোনার ক্ষত এখনও দগদগে৷ গত দুই বছরে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস যে তাণ্ডব দেখিয়েছে, সেই স্মৃতি ভুলতে পারেনি মানুষ৷ এরই মধ্যে খোঁজ মিলল কিছু নতুন ভাইরাসের৷ তবে দুই-একটি নয়, সংখ্যাটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো৷ সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভাইরাস৷ যাকে বলা যেতে পারে ভাইরাসের ‘খনি’! সম্প্রতি ‘সায়েন্স’ ম্যাগাজিনের পাতায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ যা দেখে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে৷ 

আরও পড়ুন- 

জানা গিয়েছে, এই ভাইরাসগুলি মূলত আরএনএ ভাইরাস৷ তবে এই অজানা ভাইরাসগুলির চরিত্র ঠিক কেমন, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ কারণ, পুরনো কোনও ভাইরাসের সঙ্গে এর চরিত্র বা গোত্রের কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ ফলে, নয়া আবিষ্কৃত ভাইরাসের শ্রেণি বিভাজন করতে গিয়ে নতুন পাঁচটি ‘ফাইলা’র (শ্রেণিবিন্যাসের একটি বৃহত্তর স্তর) প্রস্তাব করতে হয়েছে। তবে কি সম্মুখে সমূহ বিপদ? এই নতুন অনুসন্ধান চিন্তায় ফেলেছে বিশ্বকে৷ 

যদিও গবেষকরা বলছেন, সাগরের গভীর জলে বিপুল সংখ্যক ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ঠিকই, তবে তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ জীবজগতের উপর ওই ভাইরাসের প্রভাব কতখানি, তা খতিয়ে দেখতেই অতলান্ত সমুদ্রের ডুব দেওয়া হয়েছিল। নতুন ভাইরাসগুলি সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা সম্ভব হলে, তা থেকে আখেরে লাভবান হবে মানব জাতি৷ এদের চরিত্র বিশ্লেষণে  নিরাপদে রাখা যাবে বিশ্বমানবজাতিকে৷  

এক্ষেত্রে আরও একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য রয়েছে। এই ভাইরাসগুলি জীবগতের ক্ষেত্রে ‘গড পার্টিকল’-এর সন্ধান দিতে পারে। পদার্থবিদ্যার গবেষণায় অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই পদ্ধতির সাহায্যে পৃথিবীর সৃষ্টির ইতিহাসকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে। যা বিশ্বের গবেষক মহলে দারুণ ভাবে সাড়া ফেলেছে। গবেষকদের ধারণা, নয়া আবিষ্কৃত এই ভাইরাসগুলি জীবজগতের আদিমতম অধ্যায় সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য তাঁদের হাতে তুলে দিতে পারবে৷ ওই ভাইরাসের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আর(ডি)আর(পি) জিন। যা আরএনএ তৈরি হওয়ার ঠিক আগের পর্ব। বহু বছরের বিবর্তনের ফলে তৈরি হয় আরএনএ৷ এর আগে ওই ধরনের জিনযুক্ত ভাইরাসের খোঁজ মেলেনি।

জানা গিয়েছে, ওশান গ্লোবাল রিসার্চ প্রকল্পের অধীনে সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে থাকা ভাইরাসের খোঁজ চলছিল। সেই অনুসন্ধান পর্বেই মিলেছে এই ভাইরাস ভাণ্ডারের খোঁজ৷ গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যাটা প্রায় পাঁচ হাজার পাঁচশো চার৷