মহাকাশ থেকে ক্রমাগত ভুল তথ্য পাঠাচ্ছে নাসার যান! রহস্য ভেদে মরিয়া বিজ্ঞানীরা

মহাকাশ থেকে ক্রমাগত ভুল তথ্য পাঠাচ্ছে নাসার যান! রহস্য ভেদে মরিয়া বিজ্ঞানীরা

নয়াদিল্লি: মহাকাশে বিভ্রান্তি! ভুল তথ্য এসে পৌঁচচ্ছে পৃথিবী পৃষ্ঠে৷ কী ভাবে সম্ভব? বিভ্রান্ত বিজ্ঞানীরাও৷ 

আরও পড়ুন- ঘাতক! বিস্ময়ে পরিপূর্ণ সমুদ্রের এই বর্গাকৃতি ঢেউ

সূর্যের আওতার বাইরে মহাকাশ থেকে খবর সংগ্রহে দুটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিল নাসা৷ তাদের মধ্যে একটি থেকে ক্রমাগত ভুল তথ্য এসে পৌঁছচ্ছে পৃথিবীতে৷ কী ভাবে তথ্য ভ্রান্তি ঘটছে তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য৷ কারণ এখনও পর্যন্ত ওই মহাকাশযানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েনি৷ পৃথিবী থেকে তথ্য নিতে এবং পৃথিবীতে তথ্য পাঠাতেও এটির কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্তু গোল বেধেছে ভুল তথ্যে৷ 

কিন্তু কী ভুল তথ্য পাঠাচ্ছে এই মহাকাশযান? নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখন সৌরজগতের বাইরে নক্ষত্রমণ্ডলের মাঝের অংশে থাকার কথা এই মহাকাশযানটির। কিন্তু সেখান থেকে যে তথ্য আসছে, তাতে জানানো হচ্ছে, এটি মহাজাগতিক এলাকার অন্য কোনও অজানা অংশে পাড়ি দিয়েছে। যেটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। এই মহাকাশ যানটির নাম ভয়েজার ওয়ান। পৃথিবী থেকে বহুদূরে সৌরজগতের বাইরে পৌঁছনো মহাকাশযান এটি৷ ১৯৭৭ সালে প্রথম এটিকে সৌরজগতের বাইরের মহাজাগতিক এলাকায় পাঠায় নাসা। এখন পৃথিবী থেকে ২,৩৩০ কোটি কিলোমিটার দূরে রয়েছে এটি৷ 

নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন,  প্রথমে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল ভয়েজার ওয়ান-কে৷ এর দিন কয়েক বাদেই মহাকাশে পাড়ি জমায় ভয়েজার টু। মহাজাগতিক এলাকায় ভাল ভাবেই নিজের কাজ করে চলেছে সে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভয়েজার ওয়ানকে নিয়ে৷ কিন্তু, সমস্যাটা ঠিক কী? কেন আসছে ভুল তথ্য? সেটা খুঁজতেই তথ্য বিশ্লেষণ করতে বসেছেন নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বিশেষ দল। তাঁরা জানিয়েছেন, ভয়েজার ওয়ানের নিয়ন্ত্রণের বেশিরভাগটাই রয়েছে অ্যাটিচ্যুড আর্টিকুলেশন এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের উপর৷ কিন্তু, সেই সিস্টেম থেকে যে তথ্য মিলেছে, তা থেকেও বোঝা যাচ্ছে না ভয়েজার ওয়ানের ভিতরে সমস্যাটা ঠিক কী৷ অন্য কোনও কারণে ভয়েজার ওয়ানের তথ্য বিকৃতি ঘটছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এটি মহাকাশে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা চলছে৷