পাটনা: বাংলার ভোটের আগে নজরে রয়েছে বিহার ভোট৷ সেখানে শাসক দল জেডিইউ এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ তবে প্রত্যাশিত এই জোট হলেও মুখ্যমন্ত্রী মুখ করা হয়েছে নীতিশ কুমারকেই৷ এবার বিহারে ভোট প্রচারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বিহারে ভোটের প্রচারে প্রায় ১২ টি র্যালি করবেন তিনি৷
অক্টোবরের ২৩ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে নমোকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচী৷ বিজেপি সূত্রে খবর, ২৩ অক্টোবর বিহারের সাসারাম, গয়া ও ভাগলপুরে ৩টি র্যালি করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ এরপর ২৮ অক্টোবর দ্বারভাঙ্গা, মুজাফফরপুর ও পটনায় নির্বাচনী র্যালি করবেন তিনি৷ অক্টোবরে আর কোনও র্যালি করবেন না প্রধানমন্ত্রী৷ এরপর ৩ নভেম্বর ছাপড়া, পূর্ব চম্পারন ও সমস্তিপুরে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন মোদী৷ ওই দিনেই ফের পশ্চিম চম্পারন, শাহারসা ও আরারিয়ায় র্যালি করবেন নমো৷
নির্বাচনের প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে এসে র্যালি করবেন সে তো খুব ভালো কথা৷ তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এটা করা কতটা উচিত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই৷ তবে এবিষয়ে সবটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিহার ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ তিনি জানিয়েছেন নির্বাচনী মিছিল হলেও তা হবে সামাজীক দুরত্ব মেনেই৷ মিছিলে থাকা সমস্ত বিজেপি কর্মকর্তাদের মুখে থাকবে মাস্ক৷ এমনকী পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটারজারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ এই সমস্ত কথাই সাংবাদিক বৈঠকে জানান দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ৷ তিনি বিরোধী দল আরজেডির বিরুদ্ধে রীতিমত তোপ দাগেন৷ তিনি বলেন, মানুষ এই দলের লুঠতরাজের শাসন আগেও দেখেছে৷ আরজেডির জন্মই হয়েছে দুর্নীতি থেকে রাজনৈতিক নেতাদের বাঁচানোর জন্য৷
এদিকে বিহার ভোটে জেডিইউএর জন্য বর্তমানে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলজেপি৷ চিরাগ জানিয়ে দিয়েছেন, নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে আদর্শগত বিভেদ থাকার কারণে তাঁরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে চিরাগ স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি বিহারে বিজেপি শাসিত সরকারের পক্ষে। এমনকি নিজেকে মোদীজীর ভক্ত বলেও জাহির করেন চিরাগ৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও ছবি আমার লাগবে না। উনি আমার হৃদয়ে থাকেন। ঠিক রামের প্রতি হনুমানের যেমন ভক্তি, আমারও বুক চিরে দেখলে আপনারা একমাত্র মোদিজিকে পাবেন।’’