কলকাতা: নরেন্দ্র মোদী বাংলায় ‘ভার্চুয়াল’ দুর্গাপুজো উদ্বোধন করলেন৷ বাংলায় প্রধানমন্ত্রী পুজোর উদ্বোধন করবেন, কিছুদিন আগেই এই বিষয়টি নিয়ে এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আজ বিকেল ডট কম৷ আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলা ভাষায় দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান৷ কাকদ্বীপ থেকে বারাসাত হয়ে আসানসোল – বিভিন্ন পুজো কমিটিতে ভিডিও কনফারেনসিংয়ের মাধ্যমে তিনি শুভেচ্ছা জানন৷ বিধাননগরের ইজেডসিসি’তে বিজেপি মহিলা মোর্চা এবং সাংকৃতিক শাখা আয়োজিত দুর্গা পুজোর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধনও করেন মোদী৷
২১-শের নির্বাচনে এবারের দুর্গাপুজো শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ বাঙালীদের এই পুজো আবেগকেই কাজে লাগিয়ে ভোট বৈতরণী পার করতে উঠে পড়ে লেগেছে শাসক দল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি৷ তাই শারদ উত্সেবে সামিল হওয়ার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করতে চাইছে না গেরুয়া শিবির৷ এবার ‘ভার্চুয়ালি’ দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
রাজ্য বিজেপির তরফে আগেই পরিকল্পনা করা হয়, প্রধানমন্ত্রী এক বা একাধিক পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন দিল্লিতে তাঁর দফতরে বসে৷ সেই মর্মে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ সেইমতই আজ পরিকল্পনা রূপায়িত হল৷ দিল্লিতে কিছুদিন আগেই স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হয়৷ সেই বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেখান থেকেই একটি সদর্থক বার্তা পাওয়া গিয়েছে৷
মনে রাখা প্রযোজন, পুজো উদ্বোধন নিয়ে বিজেপির অভিজ্ঞতা খুব ভালো নয়৷ গতবারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুজো উদ্বোধন করতে সল্টলেকের বি জে ব্লকে এসেছিলেন কিন্তু সেই পুজো উদ্বোধন করার প্রক্রিয়া খুব একটা সহজ সরল ছিল না৷ রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে কলকাতার বিভিন্ন পুজো কমিটিতে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ কিন্তু যা খবর শেষ মুহূর্তে অনেকেই পিছিয়ে আসে৷ দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি বড় পুজো কমিটি শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসে৷ রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে সরাসরি অভিযোগ করা হয়, শাসকদল বাধা সৃষ্টি করছে৷ এরপর অবশ্য অমিত শাহর পুজো উদ্বোধন থেমে থাকেনি৷ সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজো উদ্যোক্তা এক বিজেপি নেতা এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করেন এবং ঝটিকা সফরে পুজো উদ্বোধন করে ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ফিরে যান অমিত শাহ৷
এবারে প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী কলকাতার কোনও বড় পুজো উদ্বোধন করতে পারছেন না কেন। তারা কী প্রধানমন্ত্রীর ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধন আয়োজন করার সাহস পেল না? বিজেপির অন্দরের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের থেকে ৫০ হাজার অনুদান পাচ্ছে পুজোগুলি। তাই কেউ ঝুঁকি নিতে রাজি নয়৷