নয়াদিল্লি: মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে মহাবিশ্বের মহাবিষ্ময় হল লাল গ্রহ। পৃথিবীর পরশি এই গ্রহ নিয়ে আগ্রহের অন্ত নেই সাধারণ মানুষের মনেও। বিজ্ঞানীরাও মঙ্গলের রহস্য উদঘাটনে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে মরিয়া তাঁরা৷ লাল গ্রহের অতীত রহস্য উদঘাটনেও সদা তৎপর গবেষকরা৷ সম্প্রতি নাসার প্রিসার্ভারেন্স রোভার মঙ্গল পৃষ্ঠে একটি অদ্ভুত স্প্যাগেটি গোছের বস্তুর সন্ধান পেয়েছে৷ যেটি বহির্জাগতিক দুনিয়ার মতো হলেও, তা পৃথিবী থেকেই উদ্ভূত বলে মনে করা হচ্ছে। লালগ্রহের বুকে নুডলসের মতো দেখতে বস্তুটির একটি ছবিও প্রকাশ করেছে নাসা।
আরও পড়ুন- নক্ষত্রখচিত মহাকাশ! ১৩০০ কোটি বছর আগের বিস্ময় করা ছবি তুলল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ
এই বস্তুটি আসলে কী, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও বিস্তর ধন্দ্ব রয়েছে৷ তবে নাসার বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই বস্তুটি মানুষেরই সৃষ্টি৷ এটি সম্ভবত রোভারের অবতরণ পর্যায়ের একটি অংশ৷ অনুরূপ আর একটি অদ্ভুত বস্তুর দাগ হিসেবে এটা চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ফয়েলের একটি বর্গাকার শিটের মতো দেখতে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, নাসার প্রিসার্ভারেন্স রোভার অবতরণের পর্যায়ে জেট প্যাকের একটি থেকে আসা কম্বলের অংশবিশেষ হতে পারে।
মঙ্গলের ঠিক যে স্থানে ছবিটি তোলা হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ডিসেন্ট স্টেজটি ধ্বংস হয়েছিল। যদিও গবেষকদের কাছে এখনও বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে, রোভার অবতরণের সময় হাওয়া লেগে বা অন্যান্য কারণে বস্তুটি এতদূর নেমে গিয়েছে কি না। নাসার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, এই নুডলস বা স্প্যাগেটি সদৃশ বস্তুটি হয়তো অবতরণের জন্য প্যারাশ্যুটের মতো সেটআপ বা ল্যান্ডারের কিছু অংশ হতে পারে।
গত ১২ জুলাই প্রিসার্ভারেন্সের সামনের দিকে হ্যাজার্ড অ্যাভয়ড্যান্স ক্যামেরা বা বিপদ পরিহার করতে পারে এমন একটি ক্যামেরা মার্টিয়ান টাম্বলউইডের এই এক টুকরো আবর্জনার ছবি তুলেছিল। নাসার এক মুখপাত্রের কথায়, এই বস্তুটি নিশ্চিতভাবেই মিশনের কিছু ধ্বংসাবশেষ হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>