কলকাতা: ক্রমশ ‘বুড়ো’ হচ্ছে সূর্য৷ মাঝবয়স পেরিয়ে প্রৌঢ়ত্বের দিকে এগোচ্ছে পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র৷ শুনতে অবাক লাগলেও, এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ ২০১৩ সালে গাইয়া নামে একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছিল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি৷ সেই মহাকাশযানটির কাজই হল মহাকাশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। গাইয়া-র পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করেই বিজ্ঞানীদের অনুমান, ক্রমেই বৃদ্ধ হচ্ছে সূর্য৷ পৃথিবীর শক্তির মূল উৎসের আয়ু সম্পর্কেও অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা৷
আরও পড়ুন- রেকর্ড বৃদ্ধি পৃথিবীর গতিতে! ২৪ ঘণ্টার কমেই সম্পূর্ণ দিন, কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এর ফল
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের আনুমানিক বয়স হল ৪৫৭ কোটি বছর। তাঁরা জানাচ্ছেন, তপ্ত সূর্যের অভ্যন্তরে অনবরত তৈরি হচ্ছে হিলিয়াম পরমাণু৷ হাইড্রোজেন পরমাণু পরস্পর যুক্ত হয়েই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলে ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’। যা থেকে সূর্যের অভ্যন্তরে তৈরি হয় বিপুল পরিমাণ শক্তি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের ভিতরে হাইড্রোজেনের পরিমাণ কমে এলেই এই প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়বে৷ ধীরে ধীরে নিভে আসবে সূর্য। কিন্তু কবে ঘটবে এই অঘটন?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কোন নক্ষত্রের আয়ু অনেকটাই নির্ভর করে তার ভরের উপর। মহাকাশে ভ্রাম্যমান ‘গাইয়া’ থেকে অন্যান্য নক্ষত্র সম্পর্কে যে সকল তথ্য মিলেছে, তা সূর্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই তাঁরা বলছেন, ৮০০ কোটি বছরে গিয়ে সর্বোচ্চ উষ্ণতায় পৌঁছবে সূর্য। তার পর থেকেই ক্রমশ শীতল হতে থাকবে এই নক্ষত্র। উষ্ণতা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে সূর্যের আয়তন। ক্রমেই তা লাল রাক্ষুসে নক্ষত্রে পরিণত হবে৷ প্রায় ১১০০ কোটি বছর বয়সে পৌঁছে পুরোপুরি মৃত্যু হবে আমাদের সূর্যের।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>