নিউ ইয়র্ক: এখানে বছরের ছয় মাস রাত৷ গাঁঢ় অন্ধকারে ঢাকা থাকে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু৷ এই ছয় মাস সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও নক্ষত্র দেখার শ্রেষ্ঠ সময়৷ তারাদের খোঁজেই দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি গবেষণাকেন্দ্রে ঘাঁটি গেরেছিলেন ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি’-র কয়েক জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী৷ টানা চার মাস আন্টার্টিকার অন্ধকারে ‘নিশিযাপনে’র পর আক্ষরিক অর্থেই সূর্যোদয় দেখলেন তাঁরা৷ অন্ধকার ভেদ করে আকাশে দেখা দিল সূর্যের আলো৷
আরও পড়ুন- পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খলিফার চেয়েও বড় গ্রহাণু! চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত দুর্গম বেসগুলির মধ্যে অন্যতম ‘কনকর্ডিয়া’। চলতি বছরের মে মাস থেকে এই গবেষণাকেন্দ্রে ঘাঁটি ছিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রবল দুর্গম স্থান। তার উপর ঘুটঘুটে অন্ধকার। গত চার মাস গবেষণাকেন্দ্রের বাইরে বেরতে পারেননি কেউই। বাইরে থেকেও কেউ আসতেও পারেননি সেখানে। কারণ, দক্ষিণ মেরুরতে তখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের চেয়ে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। এই প্রতিকবলতার মধ্যেও হাল ছাড়েননি বিজ্ঞানীরা।
প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলেও, আন্টার্কটিকার প্রতিকূল পরিবেশে এক টানা চার মাস থাকাটা মোটেও সহজ ছিল না। খেতে হয় মেপে৷ পাশাপাশি রয়েছে অক্সিজেনের অভাবেও৷ ফলে দেখা দিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট। মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম পরিমাণে পৌঁছলে, দেখা দিতে পারে স্থায়ী হাইপক্সিয়া। সমস্ত সমস্যা তুচ্ছ করেই দীর্ঘ লড়াই চালান বিজ্ঞানীরা৷ অবশেষে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে তাঁদের মুখে ফুটল যুদ্ধজয়ের হাসি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>