জাজপুর: ভাইকে সঙ্গে করে আত্মীয়ের বাড়ি যেতে গিয়ে বৃষ্টির কারণে আটকে পড়েছিল বছর ১৫-এর এক কিশোরী। সেই সময় স্থানীয় পাঁচ জন যুবক নিকটবর্তী স্কুলে তাদের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। রাতের অন্ধকার এবং প্রবল বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে দ্বিধা সত্বেও শেষমেষ স্কুল বাড়িতে যেতেই রাজি হয় তারা। কিন্তু তাতে যে বিপদ আরো বহুগুণ বাড়তে পারে তা তাদের কল্পনাতেও ছিল না।
এরপর স্কুলবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতেই ওই কিশোরীকে ঘিরে ধরে পাঁচ জন যুবক। কোনওক্রমে নিজেকে বাঁচাতে ছাদের দিকে ছোটে সে। কিন্তু তাকে ধাওয়া করে সেখানেও পৌঁছে যায় ওই পাঁচ অভিযুক্ত। শেষমেষ নিজের মান বাঁচাতে দোতলা স্কুল বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় বছর ১৫-এর ওই কিশোরী। ঘটনাটি ওড়িশার জাজপুর জেলার। এই ঘটনায় ওই কিশোরী গুরুতর চোট পেয়েছে এবং এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলিঙ্গ নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঘটনাটি রবিবার রাতের। গুরুতর আহত ওই কিশোরী এবং তার ভাই ওড়িশার কেওনঝাড় যার জেলার বাসিন্দা এবং রবিবার তারা তাদের বোনের বাড়িতে আসছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই কিশোরীর ভাই ইতিমধ্যেই পুলিশ আধিকারিকদের জানিয়েছে, বাস থেকে নামতেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ওই পাঁচ অভিযুক্ত এবং নিকটবর্তী স্কুল বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বৃষ্টিতে আটকে থাকার পরে তারা শেষে স্কুল বাড়িতে যেতে রাজি হয়।
কিন্তু স্কুল বাড়িতে প্রবেশ করতেই দেখা যায় অভিযুক্তরাও তাদের পিছন পিছন এসেছে। এরপরেই তারা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তার ভাই বাধা দিতে গেলে তাকেও ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শেষমেষ ওই পাঁচ জনের হাত থেকে বাঁচতে ওই কিশোরী স্কুল বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়।