রাতের অন্ধকার ভেদ করে তীব্র আলোর ঝলকানি, ভিনগ্রহীর আগমন, না অন্য কিছু?

রাতের অন্ধকার ভেদ করে তীব্র আলোর ঝলকানি, ভিনগ্রহীর আগমন, না অন্য কিছু?

 লন্ডন: আকাশে তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার। নিস্তব্ধ নিঝুম রাত। হঠাৎ সেই নিশি ভেদ করে ইংলিশ চ্যানেলের আকাশে আলোর রোশনাই। সেই আলোর ঝলকানি এতটাই তীব্র যে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৩টে নাগাদ আকাশে এই ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু রাতের অন্ধকার ভেদ করে আকাশে এত তীব্র আলো কোথা থেকে এল?  কবে কি পৃথিবীর কাছে চলে এসেছিল কোনও ভিন্‌গ্রহীদের যান? এই চোখ ধাঁধানো আলোর কারণ বোঝা গেল ঘণ্টা খানেক পর। জানা গেল, কোনও ভিনগ্রহীর স্পেশক্রাফ্ট নয়, বরং পৃথিবীর আকাশে প্রবেশ করে ফেটে গিয়েছে একটি গ্রহাণু। আর সেই কারণেই রাচের আকাশে এত আলোর ছটা। ওই গ্রহাণুর বিস্ফোরণে সৃষ্টি হওয়া আলোক বিচ্ছুরণের ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে৷ 

আরও পড়ুন- ৫০ হাজার বছর পর ফের পৃথিবীর কাছাকাছি, রাতের আকাশ রাঙাল সবুজ ছটার ধূমকেতু

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েছিল৷ সেই গ্রহাণুটিই ইংলিশ চ্যানেলের উপরে আকাশে ফেটে যায়। দক্ষিণ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের অধিকাংশ জায়গা থেকে এবং ফ্রান্সের প্যারিস শহর থেকে এই আলোক বিচ্ছুরণ দেখা গিয়েছে। গ্রহাণুটি মাত্র এক মিটার চওড়া ছিল বলেও বিবিসি-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷ উল্কা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘দি ইন্টারন্যাশনাল মেটিওর অর্গানাইজেশন’ (আইএমও)-এর অনুমান, সম্ভবত একটি উল্কাপিণ্ড থেকে এই গ্রহাণুটি ছিটকে আসে এবং তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। আইএমও-র বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে গবেষণার জন্য ওই গ্রহাণুর ধ্বংসাবশেষ খোঁজার টেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ 

জানা গিয়েছে, ওই গ্রহাণুটির নাম সার২৬৬৭। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে বলে আগে থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল। লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক বসলোর কথায়, ‘‘ফি বছর এই আকারের বেশ কয়েকটি গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে তা সময় প্রকাশ্যে আসে না।’’