নয়াদিল্লি: প্রথমে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর রাষ্ট্রপত্নী বিতর্ক, পরবর্তীতে গুজরাটের বিষমদের বলি এবং পরিশেষে সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমার দাবিকে কেন্দ্র করে সাংসদদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ, সবে মিলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে সংসদের অধিবেশন। আর তার জেরেই এদিন রাজ্যসভার আরও তিন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। জানা যাচ্ছে, সংসদ ভবনের উপযুক্ত নয় এমন আচরণের জন্য আপ সংসদ সন্দীপ কুমার পাঠক, সুশীল কুমার গুপ্তা এবং নির্দল সাংসদ অজিত কুমার ভূঁইয়াকে এদিন সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া মোট সাংসদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭। এদের মধ্যে চারজন লোকসভার সংসদও রয়েছেন। বাকিরা সকলেই রাজ্যসভার সাংসদ।
রাজ্যসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার গুজরাটের বিষমদ কাণ্ড নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন সঞ্জয় সিং। তাঁর আচরণ প্রসঙ্গে রাজ্যসভার ডেপুটি স্পিকার জানিয়েছেন, আপ সংসদকে বারণ করার পরেও তিনি রাজ্যসভায় স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং পরে তিনি চেয়ারম্যানের চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছোড়েন। মূলত সেই কারণেই তাঁকে চলতি সপ্তাহের জন্য অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হওয়ার বিরোধিতা করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বুধবার থেকেই ধরনায় বসেছেন ১৯ জন সাসপেন্ডেড সাংসদ। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ৯ জন সাংসদও রয়েছেন। ধরনা দিয়েই তাঁরা সংসদ চত্বরে কাটিয়েছেন গোটা একটা রাত। জানা যাচ্ছে ২১ ঘণ্টা কেটে গেলেও নিজেদের অবস্থান থেকে অনড় এই সমস্ত সাংসদরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন প্রতিবাদের রাস্তা থেকে তাঁরা সরছেন না।