তমলুক: দলের সঙ্গে বাড়ছিল দূরত্ব৷ হাত ছাড়া হয়েছে একের পর এক পদ৷ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ থেকে একের পর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন৷ নন্দীগ্রাম দিবসে নাম না করে সরাসরি জানিয়েছিলেন নিজের বিদ্রোহের কথা৷ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘দেখা হবে রাজনীতির ময়দানে৷’ রাজনৈতিক পথ কী হবে, তা যথা সময়ে ঘোষণা করার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর এই অবস্থান ঘিরে যখন তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি, ঠিক তখনই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামতে কার্যত বাধ্য হলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর৷ কলকাতা থেকে ছুটকে হল পূর্ব মেদিনীপুর৷ কিন্তু, দীর্ঘ সফর করে আদৌও কোনও লাভ হয়েছে? নতুন করে বাড়ছে জল্পনা৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে ছুটে যান ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর৷ কাঁথিতে অধিকারী বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি৷ সূত্রের খবর, ওই সময় শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন না৷ বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে মিনিট ১৫ সাক্ষাৎ হয় প্রশান্তের৷ সূত্রের খবর, শুভেন্দুকে নিয়ে কথা হয় প্রশান্তের৷ তাঁকে বড় পদ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ শুভেন্দুর মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন প্রশান্ত কিশোর, সূত্রের খবর৷ যদিও প্রশান্তের আচমকা হাজিরা নিয়ে অধিকারী পরিবারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি৷ এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী ও প্রশান্ত কিশোর কিংবা তাঁর সংস্থা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি৷
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাৎ কাঁথির হাতাবাড়ি এলাকায় শুভেন্দুর বাড়িতে হাজিরা দেন প্রশান্ত৷ নিজের জনসংযোগ কর্মসূচির কারণে জেলার বাইরে ছিলেন শুভেন্দু৷ ফলে শুভেন্দুর দেখা পাননি প্রশান্ত কিশোর৷ নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দুর আক্রমণাত্মক হুংকারের পর তৃণমূলের অন্দরে বেড়েছে অস্বস্তি৷ এবার সেই অস্বস্তি মেটাতে অধিকারী বাড়িতে পা রাখলেন প্রশান্ত৷