ছাত্রকে দিয়ে গা-হাত টেপাচ্ছেন শিক্ষিকা, ফের প্রশ্নের মুখে যোগীর শিক্ষা ব্যবস্থা

ছাত্রকে দিয়ে গা-হাত টেপাচ্ছেন শিক্ষিকা, ফের প্রশ্নের মুখে যোগীর শিক্ষা ব্যবস্থা

8c3fcd66f9b19e3e50efa42afd8f9367

লখনউ: ক্লাস ভর্তি ছাত্র-ছাত্রী। চলছে পঠন পাঠনের কাজ। তার মধ্যে নিশ্চিন্তে চেয়ারে বসে ঘুমে ঢুলছেন শিক্ষিকা। সঙ্গে আবার রয়েছে আরামের যথাযথ ব্যবস্থা। ক্লাসের কয়েকজন খুদে পড়ুয়াকে দিয়েই নির্লজ্জভাবে চলছে গা-হাত-পা টিপে দেওয়ার কাজ। সবে মিলিয়ে গোটা চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা ক্লাসরুম আর কোনটা বিশ্রামাগার। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে উত্তরপ্রদেশের একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের এমনই উদ্বেগজনক একটি চিত্র। তারপরেই রাজ্যজুড়ে রীতিমতো হই হই। ফলে যথারীতি বিপাকে যোগী প্রশাসন।

 জানা যাচ্ছে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হরদই জেলার পোখড়ি প্রাথমিক স্কুলের এই উদ্বেগজনক চিত্র প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। যদিও ঐ শিক্ষিকাকে ইতিমধ্যেই তাঁর এমন অস্বস্তিকর আচরণের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে, কিন্তু তাতেও বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। ফের যোগীরাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

 

 

null

 জানা যাচ্ছে বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষিকার নাম উর্মিলা সিং। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। চার দিন আগে টুইটারে ওই শিক্ষিকার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়, যেখানে দেখা যায় উর্মিলা দেবী ক্লাসের পড়ুয়াদেরকে দিয়েই গা হাত পা টেপাচ্ছেন। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় সেটি এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন নেটপাড়ার লোকজন। একদিকে যেমন অনেকে ওই শিক্ষিকার আচরণকে লজ্জাজনক বলে দাবি করেন, অন্যদিকে আবার কিছু লোকের দাবি, প্রশাসনের নাকের ডগাতেই কিভাবে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এমন আচরণ করছেন। এরপরেই অস্বস্তিতে পড়ে যোগী সরকার এবং রাতারাতি ওই শিক্ষিকাকে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

 তবে উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক স্কুল নিয়ে বিতর্ক আজকের নয়। এর আগেও বহুবার স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে পড়েছে যোগী প্রশাসন। এর আগে দেখা গিয়েছিল উন্নাওয়ের একটি স্কুলের শিক্ষিকা এক লাইনও ইংরেজি রিডিং করতে পারছেন না। ঘটনাচক্রে তিনি আবার ইংরেজি ভাষারই শিক্ষিকা। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেও ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *