মুম্বই: মহারাষ্ট্রে ইডির নজরে ফের শিবসেনার মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। জানা যাচ্ছে জমি দুর্নীতি মামলায় তল্লাশীর জন্য রবিবার সাতসকালে তাঁর বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সঙ্গে আনা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদেরও। আপাতত সঞ্জয় রাউতের বাড়ি এবং অফিসসহ মোট তিনটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত জমি দুর্নীতি মামলা নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরে ইডির নজরে শিবসেনার মুখপাত্র। এর আগেও সাংসদ সঞ্চয়ের স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের একাধিকবার নোটিশ পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত মাসে সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের প্রায় ১২ কোটি টাকা সম্প্রতি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। পরে একবার ইডি দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও হাজিরা দেন রাউত। তখন তাঁকে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বর্তমানে তিনি সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে। তাঁর অনুপস্থিতিতেই এদিন সদলবলে ইডি আধিকারিকরা তাঁর ভাণ্ডুবের বাড়িতে হানা দিয়েছে বলে খবর। চলছে এই তল্লাশি অভিযান।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন সকালেই ইডির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শিবসেনার মুখপাত্র। এদিন টুইটারে সংসদ লেখেন, ‘আমি বালাসাহেবের নামে শপথ করে বলতে পারি কোন আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত নই। বালাসাহেব আমাকে লড়াই করতে শিখিয়েছেন, আমি লড়াই করে যাব।’ এর সঙ্গেই কার্যত হুংকার দিয়ে সঞ্জয় রাউত এদিন বলেন, ‘প্রাণ থাকতে আমি আত্মসমর্পণ করবো না।’
উল্লেখ্য গত মাসে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার গদি উল্টানোর পর থেকেই নতুন করে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ধরপাকড়। সঞ্জয়ের আগে গত মাসে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিন্ডে শপথ নেওয়ার পর দিনই আয়কর নোটিশ পান এনসিপি সুপ্রিমো শরৎ পাওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনের হলফনামায় গরমিলের অভিযোগ তুলেছিল আয়কর দফতর এবং সেই কারণেই ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০২০ সালে নির্বাচনের সময়ের হলফনামার যাবতীয় তথ্য চেয়ে তাঁকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দপ্তর।