দেশ নয়, শুধু গান্ধীদের উন্নয়নে ব্যস্ত কংগ্রেস! তীব্র কটাক্ষ মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

কমলনাথের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ করলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।

93c2ac4ef503d93bfdb5a0b7e265d289

ভোপাল: ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। মধ্যপ্রদেশের সরকার উল্টে দিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেসের ওপর চাপ যে বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। এবার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা কমলনাথের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ করলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। দাবি করলেন, সমাজকল্যাণের নামে শুধুমাত্র গান্ধী পরিবারের উন্নয়ন করে আসছে কংগ্রেস, দেশের নয়।

বিজেপি মন্ত্রীর বক্তব্য, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার ভেতর থেকেই প্রচন্ড দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। সাধারণ মানুষের টাকা লুট করে এতদিন ধরে দুর্নীতি করেছে কংগ্রেস সরকার। এ বিষয়ে তাদের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং সত্যিটা সামনে আনতে সাহায্য করা উচিত। মূলত, ইডি আধিকারিকরা অভিযোগ করেছেন, কমল নাথের ভাইপো রাতুল পুরী এবং তার দুই ছেলে নকুল এবং বকুল হেলিকপ্টার চুক্তি করে ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছে। একই সঙ্গে, গত লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে জমা পড়া ১০৬ কোটি টাকা সম্পর্কেও প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে মুখ খুলতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।

তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন কোন দিন দেশের কথা চিন্তা করেনি কংগ্রেস। তাদের প্রথম এবং একমাত্র লক্ষ্য ছিল গান্ধী পরিবারের উন্নতি। সেই উন্নতির স্বার্থেই কাজ করে গেছে তারা। সমাজকল্যাণের নামে শুধু দেশের একটা পরিবারকে সাহায্য করেছে কংগ্রেস। একইসঙ্গে দল সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। একাধিক ইস্যুতে সাধারণ মানুষের অর্থের তছনছ করেছে তারা, এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, যে সমস্ত অভিযোগ কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে উঠছে, সেই সমস্ত বিষয় আলোকপাত করা দরকার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাকেই সামনে এসে সত্যিটা বলতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে জমা পড়েছিল ১০৬ কোটি টাকা, যে টাকার এখনো পর্যন্ত কোনো হিসাব দিতে পারেনি। তাই সে নিয়ে এখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *