পাটনা: এ যেন দিন দুপুরে ডাকাতি! একদিকে জোট অন্যদিকে ঘর ভাঙলো জোট সঙ্গীই। বিহারে নীতীশের দলের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের জোট, যেটাই ভর করে বিধানসভা নির্বাচন জিতে নিয়েছে পদ্ম শিবির। কিন্তু অরুণাচল প্রদেশের যেন নীতীশের দলকে পেছন থেকে ছুরি মারলো তারা। সেখানে সাত জনের মধ্যে ছয় জন জেডিইউ বিধায়ক নাম লেখালো বিজেপিতে! অর্থাৎ সেই রাজ্যের বিরোধী দলের তকমাই হারিয়ে ফেলল নীতীশের দল। এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের পর সকলেই ভেবেছিল হয়তো নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করবে না বিজেপি শিবির। কারণ আসনের নিরিখে জেডিইউ অনেক পিছিয়ে ছিল বিজেপির থেকে। কিন্তু অবশেষে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করায় সার্বিকভাবে পরিস্থিতি বেগতিক হয়নি। কিন্তু এখন অরুণাচল প্রদেশের ঘটনায় প্রচন্ড অসন্তোষ তৈরি হয়েছে নীতীশ কুমারের দলের অন্দরে। ছয় জন বিধায়ক বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ায় এখন অরুণাচল প্রদেশের মাত্র একজন বিধায়ক রয়ে গিয়েছে নীতীশের। এতদিন যেখানে প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেত তারা, এখন সেখানেই সেই তকমা হারাতে হল তাদের। এই প্রসঙ্গে নীতীশের দলের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এটি সম্পূর্ণভাবে জোটের বিরোধী কাজ। এই ঘটনায় তারা নিজেরাই হতবাক। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ এ তারা কোন রকম সংকটের কারণ ছিল না বিজেপির, সেখানে শুধুমাত্র তারা বন্ধুত্বপূর্ণ বিরোধী শিবির ছিল।
২০১৯ সালে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ১৫টি আসনে লড়াই করে সাতটি আসনে জয় পায় জেডিইউ। ফলে প্রধান বিরোধী দলের পাশাপাশি অরুণাচলে আঞ্চলিক দলের সম্মানও পায় তাঁরা। তবে বিহার নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকেই দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য জেডিইউয়ের তিন বিধায়ককে শোকজ করা হয়েছিল অরুণাচলে। কিন্তু গতকালই তাঁরা সদলবলে বিজেপিতে নাম লেখান।৬ জেডিইউ বিধায়ক যোগ দেওয়ায় ৬০ আসনের অরুণাচল বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াল ৪৮। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ৪।