পাটনা: আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে শুরু হতে চলেছে জেডিইউর দলীয় বিধায়কদের বৈঠক। শোনা যাচ্ছে বিজেপি এবং নীতীশের দলের মধ্যেকার সম্পর্ক ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে তিক্ততার পর্যায়ে। আর তাই বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন হওয়ার পথেই হাঁটতে চলেছেন নীতীশ। গতকাল অর্থাৎ সোমবারই এই বিষয়ে কথা বলতে নাকি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে টানা ১৫ মিনিট ফোনে কথা বলেন নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, তারপরেই এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শোনা যাচ্ছে একা সোনিয়া নন, নীতীশ কুমারের কথা হয়েছে লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদবের সঙ্গেও। আর তাতেই মাথাচাড়া দিয়েছে আরও এক প্রশ্ন। তাহলে কি বর্তমান জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে ফের পুরনো সঙ্গের হাতই ধরছেন নীতীশ?
উল্লেখ্য, বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের পাল্টি নতুন কিছু নয়। এর আগেও ২০১৭ সালে লালুর দল আরজেডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপির হাত ধরেছিলেন নীতীশ। ফলে ২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের দল নামতে নামতে তিন নম্বরে পৌঁছলেও মুখ্যমন্ত্রীর গদি তাঁর দখলেই ছিল। কিন্তু শোনা যাচ্ছে সম্প্রতি তাল কেটেছে বিজেপির সঙ্গে নীতীশ রসায়নে। আর তাই বিগত কয়েক দিনের বেশ কিছু বিজেপির বৈঠক ও কর্মসূচিতে অনুপস্থিত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে নীতীশের নেতৃত্বে জেডিইউ-এর এই বৈঠক হওয়ার কথা। কাকতালীয়ভাবে ওই একই সময়ে আবার বৈঠকে বসছে আরজেডিও। লালু প্রসাদের নিজস্ব বাসভবনেই আরজেডি বিধায়কদের এই বৈঠকে যোগদান দেওয়ার কথা। দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠক বিহারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই কোন বিধায়কেরই মোবাইল নিয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ও তেজস্বী নেতৃত্বাধীন আরজেডি ইঙ্গিত দিয়েছে, নীতিশের সঙ্গে জোট করতে কোন অসুবিধাই নেই তেজস্বীদের যদি তিনি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা কোন দিকে ঘুরছে তা জানা যাবে বৈঠক শেষেই।