‘ভণ্ড সাধু’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

‘ভণ্ড সাধু’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

0feaf4c2ad9cb9aae9f66ea5e14d12c7

নয়াদিল্লি: ভণ্ড সাধুদের বিরুদ্ধে কোনোরকম ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার দিল্লির বাসিন্দা ডালপালা রামরেড্ডির আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছে, “এইসব সাধুদের নামে যদি ইতিমধ্যেই কোনও অপরাধের মামলা দায়ের করা থাকে তবে তাদের এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। মানুষ এসব সাধুদের কাছে না গেলেই হল।”

গতবছর দিল্লি সেকেন্দ্রাবাদের ডালপালা রামরেড্ডির আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, রামরেড্ডির মেয়েকে জোর করে দিল্লি রোহিনিতে নিজের আশ্রমে আটকে রেখেছেন ধর্মগুরু বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত। রামরেড্ডির অভিযোগ, মেয়েকে উদ্ধার করার সময় ওই আশ্রম থেকে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ প্রকাশিত ১৭ জনের একটি ভুয়ো ধর্মগুরুদের তালিকা খুঁজে পেয়েছেন।

অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের ওই তালিকায় ১৭ জনের মধ্যে নাম রয়েছে রাম রহিম সিং, রাধে মা, নির্মল বাবা, রামপাল, আশারাম বাপু ও তার ছেলে নারায়ণ সাই-এর। ওই একই তালিকায় নাম রয়েছে আবেদনে উল্লিখিত দিল্লির ধর্মগুরু বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিতেরও। জনস্বার্থ মামলার মতো সাজানো আবেদনে ওই ভণ্ড ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

গত বছর ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনের প্রথম শুনানি হয়। তখনও বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানায় আদালত। এমনকি আবেদনের একটি কপি সলিসিটর জেনারেলকেও পাঠাতে বলা হয়। তবে বুধবার বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে জানায়, “তালিকাটির প্রস্তুতকারক অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। আমরা পরিষদকে অশ্রদ্ধা করছি না। তবে আমরা এও জানি না তালিকাটি কতটা সত্য। কে ভণ্ড আর কি ভণ্ড নয় সেটা আমরা বুঝব কী করে? হতে পারে তালিকার কোনও ব্যক্তি ও তার প্রতিষ্ঠান সঙ্গে পরিষদের পুরনো শত্রুতা রয়েছে।”

তবে আবেদনকারীর আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী জানিয়েছেন, “তালিকায় থাকা অধিকাংশ ব্যক্তির নামে প্রচুর অপরাধের মামলা রয়েছে। খুন, ধর্ষণ, আর্থিক প্রতারণার মত মামলার বেশ কয়েকটির তদন্ত করছে সিবিআই। আদালত জানিয়েছে, “মানুষ এইসব ভুয়ো সাধুদের কাছে না গেলেই হল। এর মধ্যে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে কীভাবে?” তবে আবেদনটি কেন্দ্র সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *