প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতীশ শর্মা, শোকস্তব্ধ কংগ্রেস

৩ বার লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত প্রার্থী সতীশ শর্মা ছিলেন রাজীব গান্ধী ঘনিষ্ঠ। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে কংগ্রেসের অন্দরে

গোয়া: চলে গেলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এবং গান্ধী পরিবারের একনিষ্ঠ সমর্থক ক্যাপটেন সতীশ শর্মা। দীর্ঘদিন ধরেই দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে দীর্ঘ সেই লড়াই শেষ হয়েছে। বুধবার গোয়াতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

প্রয়াত নেতা সতীশ শর্মা কংগ্রেসের তরফ থেকে মোট ৩ বার লোকসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের রায় বারেলি এবং আমেথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী পুত্র এবং কন্যা। ভারতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের শাসনকালে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সতীশ শর্মা নিযুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও স্বাভাবিক গ্যাস মন্ত্রীর পদে। এছাড়া, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে সতীশ শর্মার ঘনিষ্ঠতাও বহুজনবিদিত। 

ভারতে স্বাধীনতার জন্মলগ্নে ১৯৪৭ সালের ১১ অক্টোবর অন্ধ্রপ্রদেশের সেকেন্দারবাদে জন্মগ্রহণ করেন সতীশ শর্মা। রাজনীতির ময়দানে পা রাখার আগে পেশাগত ভাবে তিনি ছিলেন একজন কমার্শিয়াল পাইলট। ১৯৮৩ সালে রাজীব গান্ধীর হাত ধরে তাঁর রাজনীতিতে পদার্পণ ঘটে। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের আমেথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সতীশ শর্মা রায় বারেলি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরে এই পদ তিনি ছেড়ে দেন সোনিয়া গান্ধীর জন্য।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতীশ শর্মার মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। দলের প্রতি প্রয়াত নেতার একনিষ্ঠতা স্মরণ করে ট্যুইটারে তিনি বলেন, “প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ক্যাপটেন সতীশ শর্মার মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকস্তব্ধ। দলের প্রতি তিনি ছিলেন আন্তরিক দায়বদ্ধ। ওঁর পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনদের জন্য আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।” শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিআইএম নেতা সিতারামা ইয়েচুরিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =