বাবার খুনিদের জন্য রাগ, ঘৃণা নেই, জানালেন রাহুল গান্ধী

পুদুচেরিতে নির্বাচনী প্রচারে হাজির হয়ে বাবার মৃত্যুর স্মৃতিচারণ করেন রাহুল গান্ধী

পুদুচেরি: কৃষি আইন হোক বা ভারত সরকারের বিদেশ নীতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির বিরোধিতায় বরাবর প্রথম সারিতে যাঁকে দেখা যায়, তিনি হলেন রাহুল গান্ধী। জাতীয় কংগ্রেসের এই নেতা ভারতে গান্ধী পরিবারের রাজনীতির অন্যতম প্রধান সদস্য। ২০১৪ সালে কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ঘুরে ঘুরে বিজেপি বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বছর পঞ্চাশের এই কংগ্রেসী নেতাকে দেখলে ঝট করে মনে পড়ে না মাত্র ২১ বছর বয়সেই নিজের বাবার খুনের সাক্ষী ছিলেন তিনি। 

রাগ বা ঘৃণা, বাবার খুনিদের কথা ভাবলে কোনোটাই আর মনে আসে না রাহুল গান্ধীর, এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তেমনটাই জানালেন জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। নিজের বাবার মৃত্যুতে যে গভীর শোক, বেদনায় আচ্ছন্ন হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, সময়ের স্রোত সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়েছে অনেকটাই। প্রথমদিকে ক্ষোভ যন্ত্রণা থাকলেও দীর্ঘ ৩০ বছর পর আর সে অনুভূতি নেই। 

বুধবার একটি সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমার কারোর প্রতি কোনো রাগ বা ঘৃণা নেই। আমি আমার বাবাকে হারিয়েছিলাম, সেটা আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল।” সম্প্রতি পুদুচেরির নির্বাচনী প্রচারে সেখানে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। সেখানে রাজ্য সরকারি একটি মহিলা কলেজে বক্তৃতা রাখার সময় তাঁকে রাজীব গান্ধী সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়। তখনই এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। নিজের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর পুত্র রাহুল গান্ধী। 

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন, “হিংসা কখনো আপনার কাছ থেকে কিছু নিয়ে নিতে পারে না। আমার বাবা আমার মধ্যেই বেঁচে আছেন। আমার মধ্যে দিয়েই তিনি কথা বলছেন।” এদিন পুদুচেরির ভারতীদশন গভর্নমেন্ট কলেজে কথা বলার সময় ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাঁকে যেন ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করা হয়। বরং নাম ধরে ডাকাতেই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করবেন বলে জানান তিনি। পড়ুয়ারা তাঁকে ‘রাহুল আন্না’ অর্থাৎ দাদা বলে সম্বোধন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 1 =