আসাম: তিনি নিজে চা-ওয়ালা ছিলেন। আর তাই আসামের চা শ্রমিকদের মাঝে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও হাতিয়ার করলেন সেই চা-ওয়ালা তত্ত্বকেই। চা শ্রমিকদের সমস্ত সুবিধা অসুবিধার কথা তিনিই সবথেকে ভালো বুঝতে পারবেন, জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার আসামে দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “একজন চা-ওয়ালা যদি আপনাদের ব্যথা না বোঝে তাহলে আর কে বুঝবে?” শুধু তাই নয়, এদিন বিরোধী কংগ্রেসকেও ফের আসামে এক হাত নেন বিজেপি সুপ্রিমো। আসাম আর তার চা’কে অসম্মান করতে চাইছে কংগ্রেস, জানান তিনি। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস শুধু টুলকিট নির্মাতাদের সমর্থন করতে আর আসামবাসী ও তার চা’কে অসম্মান করতে ব্যস্ত।”
এদিন আসামের আগে পশ্চিমবঙ্গে পা রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। খড়গপুরের জনসভা থেকে তিনি বাংলায় ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হিংসা আর সন্ত্রাসবাদের পাঠশালা চালাচ্ছেন, বলেন তিনি। আক্রমণ করেন তোলাবাজি, কাটমানি সিন্ডিকেটের বাড়বাড়ন্তকেও। খড়গপুরে দলের প্রচারে ভাষণ দিয়েই এরপর আসামের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে আসামে ক্ষমতা দখলে মরিয়া কংগ্রেস শিবিরও। একাধিকবার সেখানে গিয়ে দলের হয়ে প্রচার করছেন রাহুল গান্ধী।নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহদের একযোগে তীব্র আক্রমণ করছেন তিনি। সম্প্রতি আসামে নির্বাচনী ইস্তেহারও প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাঠামোগত উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে কংগ্রেসী ইস্তেহারে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশের আরো ৪ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আসামে পশ্চিমবঙ্গের মতোই চলতি মাসের ২৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম দফার নির্বাচন। এছাড়া, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কেরালায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৬ এপ্রিল।