বালিয়া: স্ত্রীকে ভোটে দাঁড় করিয়ে আদতে স্বামীই সব দায়িত্ব পালন করার নজির বহু রয়েছে। তবে ভোটে দাঁড়ানোর অদম্য ইচ্ছায় বিয়ে করার ঘটনা বোধহয় বিরল। এমনটাই করলেন এক ব্যক্তি৷ ওই ব্যক্তির অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার। কিন্তু তাঁর গ্রামের আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত বলে ঘোষিত হয়। পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার আর কোনও রাস্তা না থাকায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে বাধ্য হলেন উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার করণ ছাপড়া গ্রামে ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি।
করণ ছাপড়া গ্রামের বাসিন্দা হাতি সিং বহু বছর ধরে সামাজিক উন্নয়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৫ সালে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ালেও, জিততে পারেননি। সেই বছর ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা যায়, দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন হাতি সিং। ফলে তাঁর পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার বাসনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে৷ এ বছর করণ ছাপড়া গ্রামের আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়৷ ফলে এ বছর নির্বাচনে জিতে গ্রামের প্রধান হওয়ার বাসনা তাঁর পূরণ হবে না ভেবে তিনি হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু সব পথ বন্ধ হলেও, একটি রাস্তা খোলা ছিল-বিয়ে৷ তাঁর বন্ধুরাও বিয়ে করে নেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁকে৷ কথামতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ৪৫ বছরের হাতি সিং। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের স্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে, পিছন থেকে নিজে সমস্ত কাজ পরিচালনা করবেন, এই ভেবেই বিয়ে করে ফেললেন হাতি সিং।
শুধু তাই নয়, নির্বাচনে দাঁড়াতে মরিয়া হাতি সিং বিয়ে করেছেন মলমাসে। হিন্দু রীতি অনুযায়ী, এই মাসে বিয়ে হয় না। বিয়ের জন্য এই মাসকে অশুভ বলেই মনে করা হয়৷ যদিও হাতি সিংয়ের এসব ভাবার সময় কোথায়, তিনি তো ভোটে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া৷ সংবাদমাধ্যমকে হাতি সিং জানান, নির্বাচনে দাঁড়াতে মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৩ এপ্রিল৷ তার আগে তাঁকে বিয়ে সম্পন্ন করতেই হত৷ সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।