দেবময় ঘোষ: নির্বাচনের আগে এবং ফল ঘোষণা হওয়ার পর সংখ্যাতত্ত্ব ভোটচিত্র বিশ্লেষণে বড় ভূমিকা নেয়। রবিবার ফলাফল প্রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার পাবেন, তা নিশ্চিত। তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে। নয়া দিল্লির ১১ নম্বর অশোকা রোডের বাসিন্দাদের মাথায় হাত।
রবিবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সংখ্যাতত্ত্ব বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস ৪৮.০৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আসন সংখ্যা ২১৬। বছর দুয়েক আগে, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৪৩.৬৯ শতাংশ ভোট নিয়ে ২২টি আসনে জিতেছিল। সেক্ষেত্রে, দুটি বিষয় এখানে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ –
এক) বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪.৩৫ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে নিতে পেরেছে।
দুই) লোকসভার ফলাফল বিচার করলে ১৬৩টি আসলে তৃণমূলের এগিয়ে ছিল। কিন্তু বিধানসভায় বাড়তি ৪.৩৫ শতাংশ ভোট তাদের নিদেনপক্ষে ৫৩টি অতিরিক্ত আসন দিয়েছে।
এবার বিজেপির কথায় আসা যাক। ২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল। ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট তারা নিশ্চিত করতে পেরেছিল। লোকসভা নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী বিজেপি প্রায় ১২২টি আসনে এগিয়ে ছিল। এখানেও দুটি বিষয় এখানে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ –
এক) রবিবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সংখ্যাতত্ত্ব বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি এই বিধানসভা নির্বাচনে ৩৮.০৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে, যা লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২.৫৯ শতাংশ কম।
দুই) এই মুহূর্তে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি – ৪৬টি আসন কম পেয়েছে।
যদিও এই সংখ্যাতত্ত্ব আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হবে। তবে আমুল পরিবর্তন হবে না। লোকসভা নির্বাচন থেকে শতাংশের হারে কম ভোট পেয়ে বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্ন ছাড়খার হয়ে গিয়েছে। মাত্র ২.৫৯ শতাংশ শতাংশ ভোটের ঘূর্ণীতে বেসামাল হয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির।