কলকাতা: ২০১১ সালের পর থেকে জারি ছিল বামেদের রক্তক্ষরণ৷ ধাপে ধাপে ভোট শতাংশ নেমে এসেছিল সাত শতাংশে৷ আর এবার একেবারে রক্তশূন্য৷ বাংলার বুকে বেনজির ঘটনা ঘটিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিধানসভায় থাকবেন না কোনও বাম ও কংগ্রেস সদস্য৷ সংযুক্ত মোর্চার শিবরাত্রির সলতে ভাঙড় থেকে জয়ী আইএসএফ প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকি৷ সংযুক্ত মোর্চার এই ব্যর্থতা যেমন একদিক দিয়ে লজ্জার ইতিহাস রচনা করল, তেমনই প্রশ্ন তুলে দিল বাংলার বিরোধী রাজনীতির ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে৷
আবদুল মান্নান থেকে সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য থেকে নেপাল মাহাতো বাংলার বিধানসভা যুদ্ধে এবার হেরে গিয়েছেন অনেক পোড়খাওয়া বিধায়ক৷ তাঁদের অভাব যেমন বিধানসভার অলিন্দে টের পাওয়া যাবে, তেমনই অনুভূত হবে দল হিসেবে বাম-কংগ্রেসের অনুপস্থিতিও৷ মানুষের দাবি-দাওয়া তুলে ধরা থেকে আইন প্রণয়নের মঞ্চ বিধানসভায় এঁদের মতামত যেমন থাকবে না, তেমন শুধুই তৃণমূল-বিজেপির উপস্থিতিও রাজ্য-রাজনীতির নিরিখে খুব স্বস্তির বিষয়ও নয়৷ যদিও ভোট পাটিগণিতে শেষ কথা সংখ্যাই।
এবারে অনেকেই আশা করেছিলেন, ভোটযুদ্ধে জিতে ঐশী ঘোষ, দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্য, শতরূপ ঘোষদের মতো তরুণ প্রজন্ম পা রাখলে তাঁদের বাগ্মিতায় বিধানসভার চেহারাটা একটু অন্যরকম হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। নবীন থেকে প্রবীণ- সবই ঘাসফুলের ঝড়ে উড়ে যাওয়ায় বিধানসভায় বিরোধী কেবল বিজেপিই। এখন দেখার, এই ফল বাংলার রাজনীতিকে নতুন কোনও বাঁকের মুখে দাঁড় করায় কি না৷