এবার ছত্তিশগড়েও কোভিডের সার্টিফিকেটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি

এবার ছত্তিশগড়েও কোভিডের সার্টিফিকেটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি

ছত্তিশগড়: ঝাড়খণ্ডের পর এবার ছত্তিশগড়। এবার ছত্তিশগড়ও কোভিড ১৯ টিকার জন্য নিজস্ব সার্টিফিকেট তৈরি করল৷ শুধু তাই নয়, সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি সরিয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের মুখ বসানো হচ্ছে৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দেশজুড়ে করোনা টিকা সার্টিফিকেটে যেখানে মোদির মুখ ও তাঁর বার্তা ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে কেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করার পথে হাঁটল ছত্তিশগড়? রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই টিকা তারা নিজেরা কিনেছে বলেই প্রধানমন্ত্রীর বদলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু টিকার সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ সরিয়ে নেওয়ায় বেজায় চটেছেন বিজেপি নেতারা। তাদের অভিযোগ, করোনার মতো ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও নিজেদের প্রচার করার সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। নিজেদের প্রচারের স্বার্থেই কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে টিকার সার্টিফিকেটে বাঘেলের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিং দেও। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এ প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, ‘এনিয়ে কোনও ইস্যু করার বিষয়ই নয়৷ টিকার সার্টিফিকেটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার নিয়ে আপত্তি একেবারেই ভিত্তিহীন। কেন্দ্র যখন নিজের টাকায় ভ্যাকসিন কিনে মানুষকে দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। তাহলে ছত্তিশগড় সরকার যখন টিকা কিনে তা রাজ্যবাসীকে দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেটে কেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ব্যবহার করা হবে না?’

শুধু ছবি বদলই নয়, কেন্দ্রের ‘কোউইন’ পোর্টাল ছেড়ে ছত্তিশগড় ইতিমধ্যেই তাদের নিজস্ব ভ্যাকসিন ওয়েবসাইট ‘সিজিটিকা’ তৈরি করে, তার মাধ্যমে টিকার কাজ করে চলেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সীমিত জোগানের মধ্যেই ১৮ ঊর্ধ্বদের মধ্যে ৭ লক্ষ রাজ্যবাসীকে টিকা দেওয়া হয়েও গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বুধবারই ঝাড়খণ্ড সরকার কোভিড ১৯ সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ছবি বসিয়েছে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − eight =