নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফ আজ কিছুটা আবার স্বস্তি দিয়েছে। খানিকটা কমেছে দৈনিক আক্রান্ত। কমেছে অ্যাকটিভ কেসও। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হয়েছে। অন্যদিকে অ্যাকটিভ কেস কার্যত একই জায়গায় ঘোরাফেরা করলেও আজ কিঞ্চিৎ কম। কিন্তু সাধারণ মানুষকে যে সতর্ক থাকতে হবে তা বারবার করেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনা ছাড়াও একাধিক ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যার মধ্যে আছে মাঙ্কিপক্স। দেশেও এই রোগ এবং ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়ছে বলেই আশঙ্কা।
আরও পড়ুন- দিল্লির বাতাসে ধুলোর মেঘ, টুইন টাওয়ার ধ্বংসে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে চলেছে মানবজীবনে
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৮০৯ জন। ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। আবার একদিনে সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৪১৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৩০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ১১৪ জন। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৬৯ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ২১৩ কোটি ২০ লক্ষের বেশি ডোজ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৯ লক্ষের বেশি ডোজ। এতদিনে মোট মৃত্যু হয়েছে, ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৯১ জনের।
এদিকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দেশে। করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে মেয়ের, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ধনকুবের বিল গেটস এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কোভিশিল্ড টিকার ডোজ নিয়েই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তাঁর মেয়ের শরীরে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই কারণে গেটস ও সেরামকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।