বিজেপি যুবমোর্চার ইতিহাসে এই প্রথম দুটি জাতীয়স্তরের পদ বাংলা থেকে

বিজেপি যুবমোর্চার ইতিহাসে এই প্রথম দুটি জাতীয়স্তরের পদ বাংলা থেকে

f9ab730eb13fc1cfcaf72c85cfd51583

কলকাতা: উত্তরবঙ্গ থেকে জাতীয় স্তরে নেতা তুলে আনতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছেন দুই সাংসদ – নিশীথ প্রামানিক এবং জন বারলা। এবার দলীয় সংগঠনের ক্ষেত্রেও উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দিতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বিজেপিতে বাড়তি গুরুত্ব পেল যুবমোর্চা, পশ্চিমবঙ্গ।

ভারতীয় জনতা পার্টির ইতিহাসে প্রথম বার একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সর্বভারতীয় পদ পেলো পশ্চিমবঙ্গ যুবমোর্চা। দার্জিলিংয়ের সাংসদ শ্রী রাজু বিস্তা ভারতীয় জনতা যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। এছাড়াও দুবরাজপুরের বিধায়ক শ্রী অনুপ সাহা ভারতীয় জনতা যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী তেজস্বী সূর্য। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিষয়কে তিনি ইতিমধ্যেই জাতীয়স্তরে তুলে ধরেছেন। বাকিরা পশ্চিমবঙ্গকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তুলে ধরবেন সে আশা করছে বিজেপি।

বরাবরই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চা শাখা গুরুত্ব পেয়েছে সর্বভারতীয় নিরিখে। এর আগে ১৯৮০-১৯৮২ সালে যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন শ্রী বিদ্যুৎ দত্ত। ১৯৮২-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শ্রী উৎপল কান্তি চক্রবর্তী। তাপস চ্যাটার্জি ১৯৯০-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সর্বভারতীয় সম্পাদক ও তারপর ১৯৯৩- ১৯৯৫ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। সেই সময় যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন শ্রী জেপি নাড্ডা। যিনি বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

সাম্প্রতিক কালেও শ্রী রাজকমল পাঠক সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন ১৯৯৮- ২০০০ সাল পর্যন্ত। শ্রী সায়ন্তন বসু সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন ২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত। শ্রী সৌরভ সিকদার সর্বভারতীয় সম্পাদক ২০১৬-২০২১। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার নতুন ক্যাবিনেটে বাংলা থেকে চার জন নতুন মুখ যুক্ত করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই সিদ্ধান্তটি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যে বিজেপির অবস্থানকে সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজ্যে বিজেপির ১৮জন সাংসদ আছেন। মোদী তার মধ্যে পছন্দ করেছেন ৪জনকে। মতুয়া মহাসংহকে সামনে রেখে মন্ত্রীসভায় তুলে আনা হয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে। জন বারলা, চা-বাগানের এক নেতা। তিনি স্থানীয় উপজাতিদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক রাখেন। ইদানিং উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন। নিশীথ প্রামানিক কোচবিহারের এক রাজবংশী নেতা। তিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। লোকসভায় তিনি জিতেছিলেন। ইদানিং, বিধানসভাতেও তিনি জেতেন। তবে, সম্প্রতি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তিনি সাংসদ হিসাবে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাঁকুড়ার বিজেপি নেতা, জঙ্গলমহলের মানুষ ডা. সুভাষ সরকারও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *