লখনউ থেকে উদ্ধার ১০ কোটি মূল্যের বমি! পাচার করতে গিয়ে ধৃত ৩

লখনউ থেকে উদ্ধার ১০ কোটি মূল্যের বমি! পাচার করতে গিয়ে ধৃত ৩

adfe596662ca19c5a37a010bd60d565e

 নয়াদিল্লি:  বমি! তার দাম নাকি কোটি টাকা৷ হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি৷ অতিকায় তিমি মাছের মুখনিঃসৃত মোমজাতীয়  যে পদার্থ নিঃসৃত হয়, তার দাম আকাশছোঁয়া। যার ভালো নাম অ্যাম্বারগ্রিজ৷ চলতি কথায় একেই বলে তিমির বমি৷ এই বমি চোরাচালন করতে গিয়েই উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়ল তিন ব্যবসায়ী৷ জানা গিয়েছে তাঁদের কাছে ৪.১২ কেজি অ্যাম্বারগ্রিস ছিল৷ আন্তর্জাতিক বাজারে যার মোট মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা!  

 

এই অ্যাম্বারগ্রিজ আসলে ঠিক কী? কেনই বা এর আকাশছোঁয়া দাম? এটি আসলে তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় জমাট বাঁধা একটি পদার্থ৷ যা বমি হিসেবে তারা শরীর থেকে বের করে দেয়৷  অনন্য সুগন্ধের কারণে দামী পারফিউমে এই বমি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই অ্যাম্বারগ্রিস সুগন্ধিকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। এটি প্রসাধনী অর্থাৎ সাজগোজের জিনিস তৈরি করতেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এটি ‘ভাসমান সোনা’ বলেও পরিচিত। আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। অ্যাম্বারগ্রিস নামটি এসেছে ‘স্পার্মেসিটি’ নামক একটি মোম জাতীয় পদার্থ থেকে। সম্প্রতি, অ্যাম্বারগ্রিস চোরাচালানের একের পর এক ঘটনা ঘটেছে ভারতে। বহু মূল্য এই বমির এক কিলোগ্রামের দাম কমপক্ষে ১ কোটি টাকা। গত জুলাইয়ে ২৮ কোটি টাকার অ্যাম্বারগ্রিজ ধরা পড়েছিল কেরলে। 

 

এদিন তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করার পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তরফে টুইট করে ঘটনার কথা জানানো হয়। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিষিদ্ধ বন্য জীব সংরক্ষণ আইনের অধীনে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪.১২ কেজি অ্যাম্বারগ্রিস৷ যার বাজার মূল্য় প্রায় ১০ কোটি টাকা৷ ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *