শূন্য হওয়ার ফল: সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্য কমিটির মান রাখেনি

শূন্য হওয়ার ফল: সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্য কমিটির মান রাখেনি

6550906c99b807dc7b6b7b4e02eb64bc

কলকাতা: সিপিএম রাজ্য কমিটি পাশে পেল না কেন্দ্রীয় কমিটিকে। কেন্দ্রীয় কমিটি কাঠগড়ায় দাঁড় করল রাজ্য কমিটিকে। রাজ্য বিধানসভায় সিপিএমের কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। অনন্য বামদলেরও কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। এই শূন্যতার কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্য কমিটিকেই দোষারোপ করেছে।

বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। যা খবর, সিপিএম নতুন নেতৃত্বকে সামনে আনতে চলেছে। কাল চুলের নেতৃত্বে। সাদা মাথার পিছনের এমন নেবেন। রাজ্য কমিটিতে বদল হবে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ নেতৃত্বকে দীর্ঘ সমালোচনা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পুরানো নেতারা সরে দাঁড়ান। নতুনদের সুযোগ করে দিন। রাজ্য কমিটি থেকে শুরু করে সমস্ত কমিটিতে সর্বোচ্চ কত বয়স পর্যন্ত নেতারা থাকতে পারবেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইয়েচুরি।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য নেতৃত্বকে। বাংলায় শূন্য হয়ে যাওয়ার দায় আলিমুদ্দিনের ঘাড়েই চাপালেন বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফেলা হল আলিমুদ্দিনকে। রাজ্য কমিটি সবিস্তারে বিপর্যয়ের কারণ ব্যখ্যা করলেও তাতে পাত্তা দেয়নি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। কেরল, তেলেঙ্গানার নেতারা সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের অর্থ, সিপিএম পার্টি কংগ্রেসকে না মেনে চলা। কেরল যখন বাহবা কুড়িয়েছে, বাংলার নেতাদের মুখ তখন শুকনো।

পার্টি সূত্রের খবর, সিপিএমের মহা শক্তিশালী কেন্দ্রীয় কমিটি বড় অংশ এখন মনে করছে এই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটই রাজ্য থেকে সিপিএমকে শূন্য করল। কেরালা,তামিলনাড়ুর সদস্যরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। রামচন্দ্র ডোম, রবীন দেব, আভাস রায়চৌধুরীরা ২০১৮ সালের পার্টি কংগ্রেসের যুক্তি তুলে বলার চেষ্টা করেন, বিজেপির বিরুদ্ধে সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এক করে লড়াই প্রয়োজন। সেই যুক্তিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট।

তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সমালোচনা রাজ্যে দলের আঞ্চলিক কমিটির নেতারা পর্যন্ত জেনে যাবেন। রাজ্যের সিপিএম নেতাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা, সংযুক্ত মোর্চার নাম নিয়ে হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করতে না পারার ব্যর্থতা সহ একাধিক ইস্যু তুলে ধরে সরাসরি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সিপিএমের-এর ওয়েবসাইটে। এটি বঙ্গ ব্রিগেডের পক্ষে চূড়ান্ত অস্বস্তিজনকও বটে। কারণ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নেতৃত্বের এই কড়া সমালোচনা সরাসরি পৌঁছে যাবে দলের তৃণমূলস্তরের কর্মীদের মধ্যেও। ফলে নেতৃত্ব আর কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যালোচনা লুকিয়ে রাখতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *