কলকাতা: একুশের বিধানসভা ভোটে বিরাট জয়ের পর তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ২০২৪৷ বিজেপি’র হাত থেকে দিল্লির মসনদ ছিনিয়ে নিতে কোমর বেঁধেছে রাজ্যের শাসক দল৷ বিধানসভার আগে যে ঘরে ভাঙল ধরেছিল, সেই ঘরই এখন দূর্গে পরিণত হচ্ছে৷ তৃণমূল যখন ঘর গুছিয়ে বৃহত্তর লড়াইয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখন অন্তর্কলহে জর্জরিত দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল৷ অশান্তির আগুন দগ্ধ জাতীয় কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক নেতাদের দল বদলের খেলায় ভাঙছে নাকি আম আদমির বিশ্বাস?
সপুত্র মুকুল রায়ের ঘরওয়াপাসির পর থেকেই রাজনীতির ময়দানে খেলার মোড় ঘুরতে শুরু করেছে৷ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল৷ একের পর এক নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন৷ একের পর এক নেতার প্রত্যাবর্তনে চওড়া হচ্ছে বিজেপি’র ফাটল৷ ঘরওয়াপাসির এই তালিকা বেশ দীর্ঘ বলেই দাবি তৃণমূলের৷ সূত্রের খবর, ফুল বদলের অপেক্ষায় রয়েছেন আরও অনেকেই৷ এরই মধ্যে শনিবারের বারবেলায় অপেক্ষা করছিল বড় চকম৷ রাজনৈতিক সন্ন্যাস ভেঙে ফের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে প্রত্যাবর্তন করলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ তবে এবার পদ্মে নয়, তিনি যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে৷ বাবুলের তৃণমূলে যোগদান দলের শক্তি যে আরও বাড়িয়ে দিল, তা নিয়ে সংশয় নেই রাজনৈতিক বোদ্ধাদের৷
বাংলায় তৃণমূল যখন ঘর গোচাচ্ছে তখন দলীয় কোন্দলে ইস্তফা দিলেন পঞ্চাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং৷ শুধু ক্যাপ্টেনই নন, ইস্তফা দিল তাঁর মন্ত্রিসভাও৷ যার জেরে একেবারে প্রকাশ্যে উঠে এল কংগ্রেসের ফাটল৷ জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই অমরিন্দর সিংহের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ৬০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। অবিলম্বে অমরিন্দর সিংকে না সরানো হলে তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে আমআদমি পার্টিতে যোগদান করবে বলেও হুমকি দেন। আজ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অমরিন্দর যখন ইস্তফা দিচ্ছেন, তখন পাঞ্জাব কংগ্রেস ভবনে পৌঁছন নভজোৎ সিং সিধু। জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি৷
আরও পড়ুন- মোদীর বিরুদ্ধে ‘মমতাই বিকল্প মুখ’! ‘অপ্রস্তুত’ রাহুলে ঘোর আপত্তি তৃণমূলের?
এদিকে, ২০২৪-এর লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসকে জোটবার্তা দিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজনীতির রণাঙ্গনে নিজের জমি ক্রমশ শক্ত করছেন তিনি৷ কিন্তু যে কংগ্রেসের হাত ধরে তিনি ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নামবেন, সেই কংগ্রেসই এখন দ্বিবিভক্ত৷