নয়াদিল্লি: রাজ্যস্তরের নির্বাচন হোক কী জাতীয় স্তরের, কালো টাকার রমরমা নিয়ে একটা চিন্তা থেকেই যায়। তবে আগামী দিনে তার বাড়বাড়ন্ত যাতে না দেখা যায় সেই কারণে এখন থেকেই ভাবনা নিল নির্বাচন কমিশন। নগদ অর্থের অনুদান নিয়ে কার্যত একটি ‘বুদ্ধি’ বের করেছে তারা এবং সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে একটি চিঠি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তাহলে কী ভাবনা নিল নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- সপ্তাহের শুরুর দেশের কোভিড গ্রাফ স্বস্তির, টিকাকরণে দাপট
নির্বাচনের সময়ে কালো টাকার ব্যবহার আটকাতে একটি বিশেষ সুপারিশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি নিজের নাম প্রকাশ করতে চাইবেন না সেই ব্যক্তি যেন কোনও রাজনৈতিক দলকে ২ হাজার টাকার বেশি নগদে অনুদান না দিতে পারে। তার বেশি অর্থ দিলেই যেন দাতার নাম প্রকাশ করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলির অনুদানের ক্ষেত্রে এমনই দাবি করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, নগদ অনুদানের সর্বোচ্চ সীমা ওই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মোট অনুদানের ২০ শতাংশ বা ২০ কোটি টাকা করা হোক, এটাই সবথেকে কম।
বিষয় হল, বর্তমানের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ অনুদানের ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলি দাতার নাম প্রকাশ করে। এই অর্থের পরিমাণই কমিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারা মনে করছে এইভাবে কালো টাকার প্রবাহ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। যদিও এই সুপারিশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার।