কলকাতা: শিক্ষক বিদ্রোহের উত্তাপে পুড়ছে রাজ্য৷ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতার চলছে আন্দোলন৷ ফলে, লোকসভা ভোটের আগে শিক্ষক বিদ্রোহের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার৷ কর্মরত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নির্ধারণে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ বিকাশ ভবনে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে বলে খবর৷
চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় শিক্ষকদের বর্ধিত বেতনের রিক্যুইজিশনই শিক্ষাদপ্তরে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ, ড্রইং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার (ডিডিও)-রা ওই শিক্ষকদের পে ফিক্সেশন করে সেই কাগজ ডিআই অফিসে দিয়েছেন। ডিআই অফিস থেকে সেগুলি বিকাশ ভবনে এসে গিয়েছে বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, নবান্নের তরফে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া মাত্রায় চালু হতে পারে শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, আমাদের এখানেও শিক্ষকরা একই রকম সমস্যায় পড়েছেন। রাজ্য সরকার শিক্ষকদের সুষ্ঠুভাবে বদলির সুযোগ দিতে পারছে না। কেউ কাছাকাছি স্কুল পেতে যদি পরীক্ষা দিয়ে সফল হন, তাঁকে কেন এতটা কম বেতনে কাজ করতে হবে? এ বিষয়ে শিক্ষাদপ্তরের একটা পদক্ষেপ করা উচিত। কোনও কোনও জেলায় আবার এই সমস্যা নেই বলেও শুনতে পাচ্ছি। শিক্ষকদের প্রোফাইলে সিনিওরিটি যোগ করা হচ্ছে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
কিন্তু বর্ধিত বেতন দেওয়া হবে না কেন? শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, এ বিষয়ে সরকারের একটি অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, বেশ কয়েক ধরনের শিক্ষক এই সমস্যায় পড়েছেন। অনেক গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক রয়েছেন, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু অভিজ্ঞতার জন্য তাঁদের বেতনবৃদ্ধি হয়ে সেটা উচ্চ মাধ্যমিক স্কেলের প্রারম্ভিক বেতনের চেয়ে অনেকটাই বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাঁদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের কর্মরত শিক্ষকরা তো আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বন্দুকের নল গুঁড়িয়ে সরকার পরিবর্তনের ডাক প্রাথমিক শিক্ষকদের
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
এসএসসির এই সংক্রান্ত যে অর্ডারটি রয়েছে, সেটিও বিভ্রান্তিকর। দেখা যাচ্ছে, কর্মরতদের নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা রয়েছে, নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের স্কুলের রিলিজ লেটার বা পদত্যাগপত্র গ্রাহ্য হয়েছে, এমন প্রমাণ সহ আসতে হবে। তবেই কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, কাজে যোগ দেওয়ার সময় আগের স্কুলের রিলিজ লেটার চাওয়া হচ্ছে, তাঁর অভিজ্ঞতার হিসেব নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বেতনের ক্ষেত্রে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন? আধিকারিকদের একাংশের যুক্তি, আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। তাই আপাতত প্রারম্ভিক বেতন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু শিক্ষকদের পাল্টা দাবি, মামলাটি ছিল কর্মরতদের পরীক্ষায় বসার অধিকার নিয়ে। আদালত কর্মরতদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। আদালত তো কোথাও বলেনি, তাঁদের নতুন প্রার্থী হিসেবে গণ্য করতে হবে৷