ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী-গণেশের ছবি রাখার দাবি কেজরির, কেন্দ্রকে বার্তা

ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী-গণেশের ছবি রাখার দাবি কেজরির, কেন্দ্রকে বার্তা

370a28613792244b35ed9dec50689775

নয়াদিল্লি: ভারতীয় অর্থনীতি কী ভাবে চাঙ্গা হতে পারে? এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু এই ইস্যুতে একটু অন্য ধরণের উপায়ের কথা বললেন রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি দাবি তুললেন, ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি রাখা হোক। তাতে নাকি অর্থনীতির উন্নতি হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে তিনি ইন্দোনেশিয়ার টাকার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে বার্তাও দিয়েছেন। ঠিক কী বলেছেন কেজরি?

আরও পড়ুন- ইন্টারনেটের ‘মেরুদণ্ড’ গুঁড়িয়ে দেওয়ার ছক? ব্রিটিশ উপকূলে রুশ জাহাজ ঘিরে বাড়ছে আশঙ্কা

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের টাকায় মহাত্মা গান্ধীর যেমন ছবি আছে তেমনই থাকুক। কিন্তু এর পাশাপাশি নতুন নোট ছাপালে তাতে লক্ষ্মী এবং গণেশের ছবি রাখা হোক। তাহলে দেবদেবীর আশীর্বাদ সকলের ওপর থাকবে ও ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতিও দ্রুত হবে বলে বলে বিশ্বাস। আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর কথায়, লক্ষ্মী ধন-সম্পদের দেবী হিসেবে বিবেচিত হন এবং গণেশজি যাবতীয় বাধা-বিপত্তি দূর করেন, সিদ্ধি দেন। তাই তাদের ছবি ভারতীয় অর্থনীতিতে জোয়ার আনতেই পারে। শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই নিয়ে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।

গোটা বিষয়টিতে তিনি ইন্দোনেশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, ইন্দোনেশিয়ার ৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলিম। কিন্তু তাও তাদের নোটে গণেশের ছবি আছে। তাই ভারতের নোটে তাঁর ছবি রাখলে কারোর আপত্তি থাকার কথা নয়। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হয়েও যদি তারা গণেশের ছবি দেশের টাকায় রাখতে পারে তাহলে ভারত তা কেন পারবে না, এই প্রশ্ন তোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আসলে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরের অভিযোগ যে তারা ধর্মীয় মেরুকরণ করে। ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির যে দাবি করা হয় তাদের বিরুদ্ধে সেই ইস্যুতেই এবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার মতো কাজ করলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতবর্ষের মতো ধর্মনিরেপক্ষ দেশের টাকায় হিন্দুদের দেবদেবীর ছবি দেওয়ার যে আর্জি তিনি কেন্দ্রকে করেছেন তাতে তারা চাপে পড়বে বলাই যায়। এক্ষেত্রে বিজেপি সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। মৌখিকভাবে একাধিক দাবি বা সিদ্ধান্তের কথা জানালেও আক্ষরিক অর্থে তা কাজে করতে তারা পারে কিনা, সেটাই হয়তো বুঝে নিতে চাইছেন কেজরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *