নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফ গত কয়েক দিনে নিম্নগামী হতে শুরু করেছিল। মাঝে একধাক্কায় প্রায় অনেকগুণ বেড়েছিল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তুলনায় বেড়েছিল অ্যাকটিভ কেসও। দীপাবলীর পর থেকে এই গ্রাফ তলানির দিকে আসছিল। যদিও আজ ফের দেড় হাজারের বেশি আক্রান্ত হল দেশে। তাই সতর্কতা যে অবলম্বন করতেই হবে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: সম্ভবত মার্চ-এপ্রিলেই পঞ্চায়েত ভোট, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৪ জন। দেশের মোট কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৬২ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৮০২ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ২ হাজার ৮৫২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশিই। আর এখনও অবধি কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ০০৮ জন। গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ২১৯ কোটি ৬২ লক্ষের বেশি ডোজ।
তবে কোভিডের অন্যান্য উপসর্গ মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ঠিক যেমন ‘কোভিড কাশি’ নিয়ে এখন চিন্তা বাড়ছে সাধারণের। সাধারণভাবে দেখতে গেলে সর্দি-কাশির মূল উপসর্গের সঙ্গে কোভিডের উপসর্গের তেমন কোনও তফাৎ নেই। অর্থাৎ এক লহমায় বোঝা মুশকিল যে কোনটা কোভিডের কাশি আর কোনটা সাধারণ সর্দির। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যেও সূক্ষ্ম একটা তফাৎ রয়েছে। জানান হয়েছে, সাধারণ কাশি ৬-৭ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। কিন্তু কোভিড কাশি দীর্ঘস্থায়ী।