তিয়াষা গুপ্ত: দেশের বৃদ্ধির হার ২০২২ সালের মধ্যে ৯ শতাংশ হওয়া জরুরি। এতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দেশের সামগ্রিক সম্বৃদ্ধি সম্ভব। সম্প্রতি নীতি আয়োগ প্রকাশিত ভিশন ডকুমেন্টে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছেন। বেকারত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় মোদী সরকারকে চেপে ধরতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সেই অস্ত্রে বারেবারে শান দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলে আগামী দিনে নীতি আয়োগের প্রস্তাব সম্বল করে মোদী সরকার কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কতটা অগ্রণী হয়, সেটাই দেখার।
`স্ট্রাটিজি ফর নিউ ইন্ডিয়া @ ৭৫’ ডকুমেন্টে একাধিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের হার বৃদ্ধি, কৃষি সংস্কার, শ্রম আইন বিধিবদ্ধকরণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করে বলেন, ২০২২-২৩ সালের মধ্যে বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ হওয়া জরুরি। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি। এর ফলে কর্মসংস্থান হুহু করে বাড়বে। নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। দেশের সামগ্রিক সম্বৃদ্ধি সম্ভব। নীতি আয়োগ তার প্রস্তাবে বলেছে, ২০১৯ সাল থেকেই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখতে হবে।
নীতি আয়োগ তার প্রস্তাবে আরো বলেছে, বৃদ্ধির হার স্থায়ী, স্বচ্ছ ও দীর্ঘমোদী হতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এগোতে হবে দেশকে। সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাত্রা বাড়ানোর প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। কৃষির উন্নতিতে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য `ই ন্যাশনাল এগ্রিকালচার মার্কেটে’র সম্প্রসারণ। এর আওতায় আরো বেশি করে কৃষকদের নিয়ে আসতে হবে। এতে তাঁদের সম্বৃদ্ধি সম্ভব।
দেশে এই মুহূর্তে কৃষক সমস্যা নিয়ে নাজেহাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার মাশুল গুনতে হয়েছে ৫ রাজ্যের নির্বাচনে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। ফলে আগমী দিনে কৃষির উন্নতিতে নীতি আয়োগের প্রস্তাব জেটলিরা কতটা বাস্তবায়িত করেন সেটাই দেখার।
এছাড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, গ্রামীণ যোগাযোগের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে।
ভিশন ডকুমেন্টে আরো বলা হয়েছে, ১০১৯ সালের শেষে আড়াই লাখ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ডিজিটাল যোগাযোগের আওতায় আনতে হবে। এর ফলে সহজেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রাম-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ডিজিটাল যোগাযোগ বিস্তারের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। আগামী দিনে নীতি আয়োগের এই একগুচ্ছ প্রস্তাব কতটা কার্যকর হয়, সেই দিকে নজর থাকবে দেশবাসীর।