কলকাতা: ধর্ষণ হয়েছে কিনা, সেই প্রমাণ পেতে নির্যাতিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির ডিভিশ বেঞ্চের রায়, এই পদ্ধতি অবৈজ্ঞানিক। ধর্ষিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট করানো হলে তা ‘অশোভনীয় আচরণ’ বলে গণ্য করা হবে। এটা ‘পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ’৷ কোনও ভাবেই ধর্ষিতার উপর এই পরীক্ষা করা যাবে না৷ কেউ জোর করে টু ফিঙ্গার টেস্ট করালে তাঁকে অসদাচরণের দায়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন- প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়াই খোলা হয়েছিল ঝুলন্ত সেতু! গুজরাত-বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০
প্রসঙ্গত, বহুদিন আগেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল দেশে। তবুও বহু ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার প্রচলন রয়েছে। এই বিষটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে বারবার দুই আঙুলের পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তথাকথিত এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিই নেই। বরং এই পরীক্ষার ফলে ধর্ষিতাকে পুনরায় বিভীষিকার মুখোমুখি হতে হয়। তাই টু ফিঙ্গার টেস্ট করা উচিত নয়৷’’ সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, পরীক্ষাটি একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়েছিল। মনে করা হত, যৌন ক্রিয়ায় সক্রিয় মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। কিন্তু একথা আদৌ সত্যি নয়।’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>