নয়াদিল্লি: ভারতে ফের হামলার ছক কষছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম৷ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য পাকিস্তান থেকে পাঠানো হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা৷ গত চার বছরে ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দাউদ৷ উদ্দেশ্য নাশকতা৷ সম্প্রতি দাউদ এবং তার ঘনিষ্ঠ সহকারী ছোটা শাকিলের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিটে এমনটাই উল্লেখ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি দুবাই থেকে পাকিস্তান হয়ে সুরত এবং মুম্বইয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা এসেছে। এই সন্ত্রাসবাদী ‘অনুদান’ এসেছে দাউদ এবং তাঁর সহযোগী ছোটা শাকিলের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন- সব গরিবই কি উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন? কারা আসবে এর আওতায়?
এনআইএ-র রিপোর্ট বলছে, আপাতত পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছে দাউদ। এদিকে, ‘ডন’ এর সহযোগী ছোটা শাকিল, আরিফ আবু বকর শেখ ওরফে আরিফ ভাইজান, শাব্বির আবু বকর শেখ, মহম্মদ সেলিম কুরেশি ওরফে সেলিম ফ্রুটরা মুম্বই-সহ গোটা ভারতের বিভিন্ন শহরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ‘অনুদান’ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ ছড়ানো হচ্ছে টাকা। এনআইএ-র চার্জশিটে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিল মাসেই হাওয়ালার মাধ্যমে মুম্বইয়ের পূর্ব মালাডে টাকা ঢুকেছে৷
এনআইএ-র দাবি, গত চার বছরে হাওয়ালার মাধ্যমে ভারতে ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা পাঠিয়েছে খোদ দাউদ৷ হাওয়ালা মামলায় তাঁদের কাছে ছ’জন সাক্ষী আছেন বলেও দাবি করেছে এনআইএ। নিরাপত্তার কারণে আপাতত তাঁদের সকলের পরিচয় গোপন রাখা হয়ছে৷ শুধু পাকিস্তান থেকে টাকা আসছে এমনটা নয়৷ ভারতের ভিতরেও হাওয়ালার মাধ্যমে কালো টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে যাচ্ছে। এই টাকা সন্ত্রাসবাদী কাজের ‘অনুদান’ হিসাবে গ্রহণ করা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক৷ পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়েছে৷ গত অগাস্ট মাসে তার মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে এনআইএ। তবে ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ দাউদের মাথার দাম দিয়েছিল ২৫ মিলিয়ন ডলার৷ ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২০৪ কোটি টাকা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>