আজ বিকেল: প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল চালু, কর্মরত শিক্ষকদের (SLST দিয়ে নতুন স্কুলে নিযুক্ত হওয়ার পর তাদের) পে প্রোটেকশন, পে কমিশন ও বদলি-সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বললেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ দীর্ঘ বৈঠকের পর পাশ-ফেল চালু ও শিক্ষকদের পে প্রোটেকশন সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযোগ, কর্মরত শিক্ষকরা SLST দিয়ে নতুন স্কুলে যুক্ত হওয়ার পর পাচ্ছেন না চাকরির কনটিনিউয়েশন। নতুন স্কুলে নিযুক্ত হওয়ার পর তাঁরা জানতে পারছেন, তাঁদের ইনিশিয়াল পে নিতে হবে৷ অতএব ৩-১৫ বছর চাকরি করার পর এখন তাঁদের মাসিক বেতন এক ধাক্কায় ৫-২০ হাজার টাকা কমে গিয়েছে৷ এদিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা STEA-এর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, ‘‘কর্মরত শিক্ষকদের যে পে প্রোটেকশন দেওয়া হচ্ছে না এটা জানতেনই না শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আমাদের সামনে শিক্ষা কমিশনার ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে ফোন করে উষ্মা প্রকাশ করেন। পাশ-ফেল চালু করা নিয়েও কথা হয়েছে৷ আমরা শিক্ষাদপ্তরের চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায় আছি৷’’
সমিতির ‘শিক্ষাবার্তা’ সম্পাদক সুব্রত বাগচি বলেন, ‘‘ভোকেশনাল শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি ও কম্পিউটার (ICT) শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়৷ তিনি বিষয়টি কারিগরি দপ্তরকে বলবেন বলে জানান।’’ সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ পোদ্দার বলেন, ‘‘পে প্রোটেকশন না পাওয়া কর্মরত শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ থাকুন৷ ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে হতে পারে৷’’
এদিকে আজ থেকে STEA এর (২৮-৩০ ডিসেম্বর) তিন দিনের রাজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে নাদিয়ার কৃষ্ণনগরে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক তপন জানা বললেন, ‘‘সারা রাজ্য থেকে প্রায় ১০০০ প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। আমরা দলমত নির্বিশেষে সকল শিক্ষকদের এই সম্মেলনে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি৷’’
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
এদিনের ডেপুটেশনে প্রতিনিধি দলে STEA নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক গোলাম কিব্রিয়া ও শিক্ষিকা অমৃতা ভট্টচার্য৷ কর্মরত শিক্ষকদের পে প্রোটেকশন নিয়ে প্রথম থেকে সরব থাকা শিক্ষক নেতা অনিমেষ হালদার জানান, ‘‘আমরা মন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি। সমস্যা মিটবে বলেই আশাবাদী৷ না হলে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামবো আমরা৷ শেষ পর্যন্ত এই শিক্ষকদের পাশে থাকব আমরা৷ পাশ-ফেল চালু নিয়ে এখনও টালবাহানা করছে সরকার৷ আমরা আমাদের এই কৃষ্ণনগর সম্মেলন থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নেব৷’’