মাটির কাছে! ২ কিলোমিটার পথে পায়ে হেঁটে পুরীর মন্দিরে পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি

মাটির কাছে! ২ কিলোমিটার পথে পায়ে হেঁটে পুরীর মন্দিরে পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি

নয়াদিল্লি: তিনি দেশের প্রথম নাগরিক৷ রয়েছেন সাংবিধানিক পদের শীর্ষে৷ অথচ মাটির বড় কাছাকাছি তিনি৷ হয়ে উঠেছেন আমজনতার কাছের মানুষ৷ সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভিআইপি নিরাপত্তা, বড় গাড়ি- এসব কিছু সরিয়ে আর পাঁচজন সাধারণ ভক্তের মতো লম্বা রাস্তা পায়ে হেঁটে পৌঁছলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। সাধারণ পুণ্যার্থীদের মতোই সেখানে পুজো দিলেন। নিরাপত্তার কারণে সঙ্গে কয়েকজন দেহরক্ষী ছিলেন মাত্র। রাষ্ট্রপতিকে এভাবে এত কাছাকাছি পেয়ে আপ্লুত জগন্নাথ মন্দিরের কর্তারাও। ছক ভেঙে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেলেন তিনি৷ তাঁর এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা৷ 

আরও পড়ুন- JNU-তে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, গুরুতর আহত কয়েকজন

দেশের রাষ্ট্রপতি আসছেন বলে কথা! প্রস্তুতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিখুঁত ব্যবস্থাপনার দিকে নজর ছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের। রাষ্ট্রপতি যেন নির্বিঘ্নে প্রভু জগন্নাথকে পুজোর অর্ঘ্য নিবেদন করতে পারেন, কোথাও যেন কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পুরীর গ্র্যান্ড রোডে দীর্ঘ সময় ট্রাফিক প্রায় বন্ধ রাখা হয়। প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

কিন্তু সকলকে চমকে নিজের বিলাসবহুল গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন দ্রৌপদী মুর্মু৷ দেহরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ব্যারিকেড ঘেরা রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ঢোকেন মন্দিরে চত্বরে। এদিন তাঁর পরনে ছিল ওড়িশার ঐতিহ্যবাহী সম্বলপুরী সিল্কের শাড়ি। ঘিয়ে শাড়ির সঙ্গে তুঁতে পাড়। এদিন হেঁটে যাওয়ার সময় দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে নমস্কার জানান, হাত মেলালেন ছোট ছোট স্কুলছাত্রীদের সঙ্গে। যেন কত কাছের তিনি৷ তাঁর এই কাজই মন ছুঁয়ে যায় সকলের৷