নয়াদিল্লি: পঞ্চম বন্দেভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পেল ভারত। শুক্রবার সবুজ পতাকা দেখিয়ে নয়া বন্দেভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ট্রেনটি চেন্নাই থেকে মাইসোর হয়ে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত যাবে৷ এটি দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দেভারত৷ বেঙ্গালুরুর কেএসআর স্টেশন থেকে এই ট্রেনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- মাটির কাছে! ২ কিলোমিটার পথে পায়ে হেঁটে পুরীর মন্দিরে পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি
“মেক ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্পের অধীনে তৈরি বন্দেভারত ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগে চলবে৷ পূর্ণ গতিতে চললে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছে যাবে বন্দে ভারত৷ এই ট্রেনে অটোমেটিক প্রোটেকশন সিস্টেম বসানো হয়েছে৷ যাত্রী ও রক্ষীদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ভয়েস রেকর্ডিং-এর সুবিধাও রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে আধুনিক ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম৷ কিন্তু, এই ট্রেন সফরের খরচ কত জানেন?
এই রুটে যাত্রীদের চেয়ার কারে ভ্রমণ করার জন্য দিতে হবে ১,২০০ টাকা৷ এক্সিকিউটিভ ক্লাসের টিকিটের দাম ২,২৯৫ টাকা৷ যাঁরা মাইসোর থেকে চেন্নাই যাচ্ছেন তাঁদের যথাক্রমে ১,৩৬৫ এবং ২,৪৮৬ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে৷ এই বন্দেভারত ট্রেনটি চেন্নাই থেকে কাটপাডি জংশন, বেঙ্গালুরু হয়ে মাইসোর পৌঁছবে। ৫০০ কিমি পথে যাত্রা করতে সময় লাগবে ছ’ঘণ্টা৷ চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা৷
তবে এই ট্রেনে শিশুদের জন্য কোনও ‘হাফ টিকিট’-এর ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া নির্দিষ্ট শ্রেণির টিকিটে কোনও ছাড়ও দেওয়া হবে না। টিকিট বাতিল থেকে টাকা ফেরত সংক্রান্ত নিয়মাবলী শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই হবে।
ট্রায়াল রানের সময় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দ্বিতীয় প্রজন্মের এই ট্রেন মাত্র ৫২ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে সক্ষম হয়েছিল। যা বুলেট ট্রেনের রেকর্ডও ভেঙে দেয়৷ গতি ছাড়াও ফটোক্যাটালিটিক এয়ার পিউরিফায়ার সিস্টেম থাকায় নতুন বন্দে ভারত ট্রেনে করোনা বা অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগের সংক্রমণ ছড়াবে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>