নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফ গত কয়েক দিনে নিম্নগামী হতে শুরু করেছিল। মাঝে একধাক্কায় প্রায় অনেকগুণ বেড়েছিল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তুলনায় বেড়েছিল অ্যাকটিভ কেসও। দীপাবলীর পর থেকে এই গ্রাফ তলানির দিকে আসছিল। এদিনও গ্রাফ সেই তলানিতেই এবং দৈনিক সংক্রমণ হাজারের নীচে। তবে শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে একাধিক। তাই সতর্কতা যে অবলম্বন করতেই হবে তা বলাই বাহুল্য। একই সঙ্গে আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, প্রতি বছর একটি করে করোনা টিকা নিতে হবে কিনা।
আরও পড়ুন: খুব দ্রুত আগমণ ঘটাবে ‘ডিজিজ এক্স’! শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা কার্যত দিশাহীন
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪২ জন। দেশের মোট কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮১০ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৭৫২ জন। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশিই। আর এখনও অবধি কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৫২০ জন মানুষ। যদিও টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ২২০ কোটি। যদিও অনেক জায়গা থেকে খবর আসছে যে বুস্টার টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে অনীহা বেড়েছে। তাই বহু সংখ্যক টিকা নষ্ট হচ্ছে রাজ্যে রাজ্যে।
এদিকে অনুমান করা হচ্ছে, প্রত্যেক বছর করোনা টিকা নিতে হবে! বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পরিস্থিতি মূলত তেমন দিকেই যাচ্ছে। গবেষকদের যুক্তি, যত দিন যাচ্ছে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলছে যা আগেরটার থেকে বেশি ভয়ঙ্কর। ফলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই আগের থেকে উন্নত করতে হবে। যে টিকা নেওয়া আছে তা হয়তো নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে তেমনভাবে কাজ করবে না, এই আশঙ্কাতেই প্রত্যেক বছর একটি করে করোনা টিকা নিতে হতে পারে।