নয়াদিল্লি: সুপ্রিম নির্দেশে অবশেষে মুক্তির পথে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকারীরা। রাজীব হত্যা-মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছ’জনকেই শুক্রবার মুক্তির নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। অতএম এবার মুক্তি পাচ্ছেন, নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার।
আরও পড়ুন- হাজারের নীচেই দৈনিক সংক্রমণ, কোভিড-সুস্থতা অক্সিজেন দিচ্ছে দেশকে
রাজীব মামলার আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী পেরারিভালনকে ২০২২ সালের মে মাসে মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নলিনী-সহ অন্য যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা গত ২৩ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। শুক্রবার মুক্তির নির্দেশ আসার পর নলিনী বলেন, ‘‘আমি জঙ্গি নই।’’
১৯৯১ সালের ২১ মে৷ তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তদানীন্তন প্রাধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী৷ সেই সভাতেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তাঁর। তদন্তে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র এক মহিলা সদস্য ধানু রাজীব গান্ধীকে হত্যার জন্য আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেন। এই ঘটনায় সাত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তাঁরা রাষ্ট্রপচির কাছে প্রাণভিক্ষা চান৷ কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে যায়।
২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন এডিএমকে সরকারের মন্ত্রিসভা রাজীব মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তনামা পাঠানো হয় তামিলনাড়ুর তৎকালীন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে৷ তিনি তা পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির দরবারে। রাজ্যপাল তাঁদের মুক্তিকে সিলমোহর না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে যান রাজীব হত্যায় অপরাধী পেরারিভালন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চলতি বছর মুক্তি হয় তাঁর৷ এর পরেই নলিনী এবং রবিচন্দ্রন মুক্তির আর্জি জানিয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানান। মাদ্রাজ হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর ‘পরামর্শ’ দেয়৷ অবশেষ আজ মুক্তির নির্দেশ দিল আদালত৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>